Call Us:

Our Professional and Dedicated Consulting Services

Our Professional and Dedicated Online Training Centre Outsourching Institute by farhad

ফরহাদ স্যারের নিজস্ব পোস্ট

ফরহাদ স্যারের নিজস্ব পোস্ট মতামত By Md Farhad Hossen Outsourchinginstitutebd.com October 28, 2024 কিভাবে নিশ্চিতভাবে চাকরী পাবেন । প্রথমত নিশ্চয়তা দিচ্ছি এই লিখাটা পড়ার পর কোন মামা-চাচা-টাকা ছাড়াই আপনি চাকরী পাবেন । শুরু করছি । আমাদের দেশে একটা উদ্ভট রেওয়াজ আছে ছেলেরা পড়াশুনা শেষ করে চাকরী খুঁজে ! আরে এটাইতে স্বাভাবিক । এত পড়াশুনা করে চাকরী করব না ? জ্বি অবশ্যই চাকরী করবেন । কিন্তু চাকরীর জন্য আপনার প্রস্তুতি কি ? উত্তর হল আমি খুব ভালভাবে পড়ুশুনা করেছি, জি.পি. এ ৫ পেয়েছি, ফাষ্ট ক্লাস ফাষ্ট হয়েছি ইত্যাদি ইত্যাদি । তো এখন তো আমি একটা ভাল চাকরী পেতেই পারি । অবশ্যই পেতে পারেন । কিন্তু আপনাকে নিয়ে কোন কোম্পানীর কি লাভ হবে ? আপনার এত ভাল রেজাল্ট দিয়ে কোম্পানী কি করবে ? তার দরকার প্র্যাকটিক্যাল কাজ , স্কীল । এখানেই আমদের দেশের শিক্ষিত ছেলে-মেয়েরা ভুল করে । শুধুমাত্র একাডেমিক পড়াশুনা এবং সার্টিফিকেটক থাকলেই নিজেকে চাকরী করার যোগ্য মনে করে । চাকরী পেতে একাডেমিক পড়াশুনার গুরুত্ব ৫০% আর দক্ষতার গুরুত্ব ৫০% । যদি আমি এই দুটিকে দুইটি সাবজেক্ট মনে করি তাহলে একটিতে যদি আপনি ফুল মার্কস পান এবং আরেকটাতে ফেল করেন তাহলে আপনি আলটিমেটলি ফেল । তো এখন কি করতে হবে ? প্রথমত পড়াশুন শেষ করেই নিজেকে চাকরীর জন্য যোগ্য মনে করা যাবে না । পড়াশুনা চলাকালীন বা শেষ করে অবশ্যই আপনাকে স্কীল বা দক্ষতা অর্জন করতে হবে । যখন আপনি নিশ্চিত হবেন যে আপনি যে কোন একটা সেক্টরে বা আপনার পছন্দের সেক্টরে কাজ করার প্রয়োজনীয় স্কীল অর্জন করতে পেরেছেন তারপর কোমড় বেঁধে চাকরীতে এপ্লাই করুন । আপনার চাকরী পাওয়া কেউ ঠেকাতে পারবে । এবং আপাকে এন্ট্রি লেভেলের চাকরীতে এপ্লাই করতে হবে না । আপনি একদম শুরু থেকেই মিড লেভেল পজিশনে এপ্লাই করতে পারবে । তো কিভাবে স্কীল অর্জন করব : ১. মনে করুন আপনি একাউন্টিং এ পড়েন বা পড়াশুন শেষ করেছেন । ( আমি জাষ্ট বুঝার জন্য একাউন্টিং নিয়ে এক্সজাম্পল দিচ্ছি কিন্তু এটা যে কোন সেক্টরের জন্য প্রযোয্য ) এখন প্রথমত আপনি সুর্নির্দিষ্টভাবে টার্গেট করুন আপনি কোন সেক্টরে আপনি একাউন্টিং জব করতে চান । ধরে নিলাম যে আপনি বড় কোন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীতে জব করতে চান যেমন : ইউনিলিভার । ২. এখন এই মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীতে কিভাবে একাউন্টিং হয় সেটা গুগুল, ইউটিউবে সার্চ করে দেখুন, শিখুন, নোট করুন । ৩. সরাসরি বা অনলাইনে তাদের কিছু ফাইল সংগ্রহ করে স্টডি করুন । আসলে কোন পদ্ধতিতে বা কিভাবে তারা কাজ করে । ৩. এই সংক্রান্ত অনলাইনে বা অফলাইনে কোথায় ফ্রি সেমিনার বা পেইড সেমিনার হয় খুুঁজুন , করুন । ৩. লিংকড ইন এ সেই সকল কোম্পানীর উচ্চ পদস্ত ব্যাক্তিদের পাবেন তাদের সাথে কানেকশন তৈরী করুন । তাছাড়া লিংকড ইনে এই রকম বড় বড় বিদেশী কোম্পানীর কর্মকর্তাদের পাবেন । তাদের সাথে বন্ধুত্ব তৈরী করুন । ( এত সহজ ? আসলেই সহজ, বড় কর্মকর্তারা কাজ পাগল মানুষ, কাজ নিয়ে যদি গঠনমূলক কথা বলেন খুব সহজেই বন্ধুত্ব হয়ে যাবে । ৪. কমপক্ষে একমাস বিনামূল্যে সেই সব প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ খুঁজুন । ৫. তাদের কোম্পানী, ম্যানেজমেন্ট, হিষ্টোরি, বিজনেস পলিসি, স্ট্রেটেজি মোটো, ইত্যাদি সম্পর্কে গভীরভাবে জানুন । অনুধাবন করুন, একাত্ন হোন, ধারণ করুন । ৬. কখন তাদের জব সার্কুলার হবে সেজন্য অপেক্ষা না করে তাদের ওয়েব সাইটে সি.ভি ড্রপ করুন এবং নিয়মিত তাদের মেইলে মেইল করুন। ৭. সি.ভি এর উপরে একটি চিঠি লিখবেন যে : আপনি যদি এই কোম্পানীতে চাকরী পান তবে কিভবে আপনি এই কোম্পানীকে ইমপ্রুভ করতে পারবেন । এখানে কোথায় কোথায় লেকিংস আছে, কি কি প্রবলেম আছে এবং আপনি কিভাবে সেগুলো সলভ করতে পারবেন । ৮. আপনি এর মধ্যে যা যা স্টাডি করেছেন যেগুলো খুব গুছিয়ে ফাইল তৈরী করে দিন । তারা যেন বুঝতে পারে যে আপনি শুধু টাকার জন্য চাকরী খুঁজছেন না । আপনি কাজপগল একজন মানুষ । ৮. একটি ইমোশন্যাল টিঠি লিখতে পারেন যে কিভাবে ছোটবেলা থেকে আপনি স্বপ্ন দেখেছেন এই কোম্পানীতে চাকরী করবেন এবং এজন্য আপানর কঠিন ও কষ্টকর জার্নি । লজিক্যাল এবং ইমোশনাল দুইদিকেই হিট করুন । কাজ হবেই হবে । এই রকম আপনি জাষ্ট ১০ টি কোম্পানীকে টার্গেট করুন । নিশ্চিতভাবেই চাকরী হবে । আসলে চাকরী প্রার্থীরা চাকরীদাতাদের সাইকোলজী বুঝে না । এই করণেই চাকরী পাই না । আপনার রেজাল্ট যাই হোক আপনি যদি উপরের পদ্ধতিগুলো এপ্লাই কররেন নিশ্চিতভবে ভাল বেতনে, ভাল পজিশনে চাকরী পাবেন । আর বড় কোন কোম্পানী কখনো ভাল রেজাল্ট হতে হবে এমন শর্ত দেয় না । এমনকি আপনার অনেক বড় ডিগ্রী থাকতে হবে সেটা শর্ত দেয় না । শর্ত একটাই নিজের কাজকে ভালবাসতে হবে, কোম্পানীকে ভালবাসতে হবে, হেডেক নিতে হবে, ইনোভেটিভ হতে হবে এবং কোম্পানীর লক্ষ ও আদর্শের সাথে একাত্ন হতে হবে । এখন কথা হল একটা চাকরীর জন্য এত কষ্ট করব ? যদি না হয় । একটাতে না হলে আরেকটাতে হবে । আপনার চেয়ারটি অপেক্ষা করছে কিন্তু সে এখনই আপনাকে বসতে দিবে না । আপনাকে আগে পুড়ে পুড়ে খাঁটি সোনা হতে হবে । এটি জামাল স্যারের লেখা । জামাল স্যারের ফ্রিল্যান্সিং সংক্রান্ত সকল লেখা, ভিডিও এবং টিউটোরিয়াল পেতে ফেসবুক, গুগল এবং ইউটিউবে সার্চ করুন । যেগুলো দেখে আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ফ্রিল্যান্সিং শিখে খুব দ্রুত ইনকাম শুরু করতে পারবেন । ফ্রিল্যান্সিং কি ভবিষ্যতে বন্ধ হয়ে যাবে ? উত্তর: আমাদের লাইফ আস্তে আস্তে অনলাইন হয়ে যাচ্ছে । যেমন আমাদের কেনাকাটা-ব্যাবসা, এডুকেশন, অফিস, ট্রান্সপোর্ট, ফুড ইত্যাদি সবকিছুই অনলাইনে হয়ে যাচ্ছে । আগে আমরা সরাসরি দোকানে গিয়ে জিনিস কিনতাম কিন্তু এখন বেশীরভাগ জিনিসই অনলাইনে কিনি। কারণ অনলাইনে কেনাকাটা করা সহজ, ঝামেলামুক্ত, সময় সাশ্রয়ী । এছাড়া আরো অনেক সুবিধা আছে । তাই ভবিষ্যতে দোকান বা মার্কেট নামে কোন কিছু থাকবে না । আমাদের সকল কেনাকাটা হবে শুধুমাত্র অনলাইনে । যতই আমাদের লাইফ অনলাইনে হচ্ছে ততই ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব বাড়ছে । কারণ একটা প্রতিষ্ঠান যখন অনলাইনে হয় তখন তার অনেকজন ডিজিটাল মার্কেটার প্রয়োজন হয় । উদাহরণ ‍দিচ্ছি: মনে করুন কাসেম ফ্যাশন হাউজ নামে একটি দোকান আছে । সেখানে ৫ জন কর্মচারী আছে যারা সরাসরি দোকানে সেলসম্যান হিসেবে কাজ করে । এখন কাসেম ফ্যাশন এর মালিক দোকানটি বন্ধ করে দিয়ে আরো বেশী বিক্রির জন্য পুরোপুরি অনলাইনে চলে গেল । এখন অনলাইনে ব্যাবসা করলে তো সরাসরি সেলসম্যানের কোন দরকার নাই । তাই ঔই ৫ জন কর্মচারীর চাকরী চলে গেল । এখন তার নতুন করে ১০ জন ডিজিটাল মার্কেটার নিয়োগ দিতে হবে । যেমন: ১জন ফেসবুক মার্কেটার, ১ জন ইউটিউব মার্কেটার, ১ জন এস.ই.ও এক্সপার্ট, ১ জন ওয়েব সাইট মেনটেইন, ১ জন অনলাইনে অর্ডার কালেকশন, আরেকজন কাষ্টমারের সাথে চ্যাটিং করা, আরেকজন প্রোডাক্ট এর গ্রাফিক্স ও ভিডিও তৈরী করার জন্য । এইভাবে তার কমপক্ষে ১০ জন লোক প্রয়োজন হবে যারা সবাই কম্পিউটারে বসে কাজ করবে অথবা সহজ করে বললে ডিজিটাল মার্কেটিং করবে । মালিকের ইনকাম ও অবশ্য বেশী হবে । আগে সরাসরি দোকানে যদি সে দিনে ১লাখ টাকা সেলস করতে এখন স্বাভাবিকভাবে সে পুরো দেশে ১০ লাখ টাকা সেল করতে পারবে । এইভাবে একটা প্রতিষ্ঠান যখন অনলাইনে কনভার্ট হয় তখন অনেক জন ডিজিটাল মার্কেটারের প্রয়োজন হয় । বড় প্রতিষ্ঠানগুলোতে আরো অনেক বেশী অনলােইনে কাজ করার লোক প্রয়োজন হয় । যতই দিন যাচ্ছে ততই মানুষের এই অনলাইন নির্ভরতা বাড়ছে । আর এই অনলাইনে কাজ করাই হল : ”ফ্রিল্যান্সিং” এখন আপনিই সিদ্ধান্ত নিন ভবিষ্যতে কি ফ্রিল্যান্সিং বাড়বে নাকি কমে যাবে । বাংলাদেশে চাকরী কম, বেকার বেশী । কিন্তু পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে ঠিক উল্টো অবস্থা, চাকরী বেশী কিন্তু সেই চাকরী করার জন্য প্রার্থী নাই । এটাকে সমাধান করেছে অনলাইন তথা ফ্রিল্যান্সিং। অনলাইনে কোন ন্যাশনাল বর্ডার নাই, কোন ভিসা-পাসপোর্ট লাগে না । খুব সহজেই আপনি দেশে বসে বিদেশী কোম্পানীতে এপ্লাই করতে পারেন, অনলাইনে ইন্টারভিউ দিতে পারেন, অনলাইনে কাজ করতে পারেন এবং সরাসরি আপনার ব্যাংক একাউন্টে সেলারী নিতে পারেন । উন্নত বিশ্বের সকল চাকরীই এখন অনলাইন হয়ে যাচেছ এটা আমাদের মত বেকার পূর্ণ দেশের জন্য একটা ব্লেসিং । ভবিষ্যতে চাকরী বলতেই আমরা বুঝবে অনলাইনে জব । আরেকটি মজার বিষয় হল অনলাইন জবে সেলারী দেয়া হয় ডলারে । যে চাকরীর জন্য বাংলাদেশে আপনি ২০ হাজার টাকা বেতন পাবেন ঠিক সেই চাকরীই আপনি বিদেশী কোন কোম্পানীতে অনলাইনে করলে পাবেন ২ হাজর ডলার । এই দুই হাজার ডলার তাদের জন্য খুবই কম কিন্তু আমাদের জন্য অনেক বেশী । বাংলা টাকায় কনভার্ট করলে যেটা হয় প্রায় ২ লাখ টাকা । তার মানে আপনি দেশে কাজ করে যা ইনকাম করেন সেই কাজ অনলাইনে বিদেশী কোন কোম্পনির জন্য করলে তার দশগুণ টাকা ইনকাম করা যাবে । আর অনলাইন জব অনেক সিকিউর । কারণ একটি চাকরী গেলে আপনি দিনে দিনে আরো ১০ টি চাকরী যোগার করতে পারবেন । সারা পৃথিবীর জব মার্কেট আপনার জন্য ওপেন । কিন্তু যতই চাকরী থাকুক আপনার খুশী হওয়ার কোন কারণ নাই । এই চাকরীগুলো করতে হলে আপনাকে খুব ভালভাবে কাজগুলো শিখতে হবে এবং কাজগুলো বার বার করার মাধ্যমে স্কীল অর্জন করতে হবে । তাহলেই সারা পৃথিবী আপনার । পৃথিবী বদলে যাচ্ছে, সেই সাথে বদলে যাচ্ছে জব এর ধরণ । এই পরিবর্তনের সাথে যারা খাপ খাওয়াতে পারবে তারাই টিকে থাকবে । যারা নতুন টেকনোলজি এডোপ্ট করতে পারবে না তারা হারিয়ে যাবে । Survival for the fittest. এটি জামাল স্যারের লেখা । জামাল স্যারের ফ্রিল্যান্সিং সংক্রান্ত সকল লেখা, ভিডিও এবং টিউটোরিয়াল পেতে ফেসবুক, গুগল এবং ইউটিউবে সার্চ করুন । যেগুলো দেখে আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ফ্রিল্যান্সিং শিখে খুব দ্রুত ইনকাম শুরু করতে পারবেন । যদি ফ্রিল্যান্সার বেড়ে যায় তাহলে কি কাজের রেইট কমে যাবে ? উত্তর: একটা কোম্পনী যদি অনলাইনে আসে তাহলে কয়েক হাজার এমপ্লয়মেন্ট তৈরী হয় । এই ভাবে পৃথিবীতে প্রতিদিন হাজার হাজার কোম্পানী অনলাইনে কনভার্ট হচ্ছে এবং প্রতিদিন লাখ লাখ জব পোষ্ট তৈরী হচ্ছে । কিন্তু সেই হারে কাজ জানা ফ্রিল্যান্সার তৈরী হচ্ছে না । কারণ মার্কেটপ্লেসে একটা একাউন্ট করলেই তাকে ফ্রিল্যান্সার বলে না । যে ৬ মাস ধরে কষ্ট করে এডভান্সড লেভেলের কাজ শিখেছে তাকেই ফ্রিল্যান্সার বলে । কিন্তু ধৈর্য ধরে এডভান্সড লেভেলের কাজ শিখে এই রকম মানুষ খুবই কম । মানুষ বেশী শিখতে চায় না । ব্রেইনকে কষ্ট দিতে চায়না । কত কম শিখে কত বেশী ইনকাম করা যায় সেই চেষ্টাই করে সবসময় । এই কারণে কাজ জানা ফ্রিল্যান্সার খুবই খুবই কম । আচ্ছা যদি বাংলাদেশের সকল মানুষ খুব ভালভাবে কাজ শিখে তখন কি হবে ? প্রথমত এটা সম্ভব নয় । কারণ ১০০ জন মানুষ যদি কাজ শিখার উদ্যোগ নেয় তবে ৯০ জনই ২য় মাস পর্যন্ত ধৈর্য ধরতে পারে না । ৬ মাস পর্যন্ত টিকে থাকবে বড়জোর ৫ জন এবং তারাই সফল ফ্রিল্যান্সার হবে । তাই বাংলাদেশের সকল মানুষ যদি পরিপূর্ণ উৎসাহ নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে তবে মাত্র কয়েক লাখ শেষ রাউন্ড পর্যন্ত যেতে পারবে । আচ্ছ যদি অলৌকিকভবে বাংলাদেশের সকল মানুষ এক্সপার্ট ফ্রিল্যান্সার হয়ে যায় তখন কি হবে ? তখন কি কাজ কমে যাবে ? কম্পিটিশন বেড়ে যাবে ? কাজের রেইট কমে যাবে ? উত্তর হচ্ছে : “না” । কারণ পৃথিবীর মাত্র কয়েকটি দেশ ফ্রিল্যান্সিং করে যেমন বাংলাদেশ ভারত পাকিস্থান, ফিলিফিন এবং নাইজেরিয়া । আর বাকী প্রায় ২০০ টা দেশে কাজ দেয় । যার ফলে এখানে চাকরী প্রার্থীর চাইতে চাকরী দাতা অর্থাৎ জব পোষ্ট অনেক অনেক গুণ বেশী । যার ফলে বাংলাদেশের সকল মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করলেও তা ফ্রিল্যান্সিং জব মার্কেটের চাহিদা পূরণ করার জন্য যথেষ্ঠ না । গত ২ বছর আগে আমাদের স্টূডেন্টদের টার্গেট দেয়া হল ২য় মাসে কমপক্ষে ৫ হাজার টাকা ইনকাম কিন্তু এখন আমাদের স্টূডেন্টরা কোর্সের ২য় মাস ২০ হাজার প্লাস ইনকাম করতে পারে । আগে যেই কাজের ভ্যালু ছিল ১০ ডলার এখন সেই কাজের ভ্যালু ৫০ ডলার । কারণ যেই হারে চাকরী বাড়ছে সেই হারে দক্ষ ফ্রিল্যান্সার বাড়ছে না । তাই বায়াররা বেতন বাড়িয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে এবং বেশী বেতন দিয়েও ভাল ফ্রিল্যান্সার পাচ্ছে না কারণ ভাল কাজ জানা ফ্রিল্যান্সার খুুবই কম । আরেকটি কথা হল বায়াররা কম টাকা দিয়ে কাজ করাতে চায় না । তারা কোয়ালিটি চায় । আর কোয়ালিটি এনসিউর করার জন্য তারা বেশী বেতন দিতে রাজী থাকে । সুতরাং আপনি যদি ভালভাবে কাজ শিখেন তবে আপনার ক্যারিয়ার সিকিউরড । এটি জামাল স্যারের লেখা । জামাল স্যারের ফ্রিল্যান্সিং সংক্রান্ত সকল লেখা, ভিডিও এবং টিউটোরিয়াল পেতে ফেসবুক, গুগল এবং ইউটিউবে সার্চ করুন । যেগুলো দেখে আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ফ্রিল্যান্সিং শিখে খুব দ্রুত ইনকাম শুরু করতে পারবেন । ফ্রিল্যান্সিংদের পরিচয় সঙ্কট ও সমাধান আমাদের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কারণে সাধারণ মানুষ ফ্রিল্যান্সিং মানেই বুঝে: পার্ট টাইম ইনকাম, ডাটা এন্ট্রি, ক্লিক করে আয় ইত্যাদি । আমাদের মিডিয়াগুলো পরিপূর্ণভাবে না জানার কারণে তারা ফ্রিল্যান্সিং কে জাষ্ট এক্সট্রা ইনকামের একটা ওয়ে হিসেবে প্রচার করে । তাই যখনই কেউ শুনে যে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করেন তখন ভেবে নেয় যে আপনি ডাটা এন্ট্রি বা এই রকম টুক টাক কিছু কাজ করে কোন রকমে কষ্টে বিষ্টে মাসে হাজার ১০/২০ হাজার টাকা ইনকাম করেন । কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং হল একটা পরিপূর্ণ প্রফেশন । লাইফটাইম প্রফেশন । ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ল’ইয়ার, সরকারী চাকরী ইত্যাদির মত একটি পরিপূর্ণ পেশা । একজন ফ্রিল্যান্সার অন্য পেশা বা চাকরীর চাইতে অনেক অনেক বেশী ইনকাম করতে পারে । একজন ভাল কাজ জানা ফ্রিল্যান্সার অনায়াসেই মাসে ৫/১০ লাখ টাকা ইনকাম করে । কিন্তু সামাজিক স্বীকৃতি নাই । বিয়ের বাজারে চৌধুরী সাহেব সহজে রাজী হতে চায় না । সমাধান কি ? প্রথমেই নিজের পরিচয় সঠিকভাবে দিন । মনে করুন ফ্রিল্যান্সিং নামে দুনিয়াতে কিছুই নেই । আপনি আসলে ফ্রিল্যান্সার না । আপনি একজন আই.টি প্রফেশনাল, অথবা গ্রাফিক ডিজাইনার , অথবা ওয়েব ডেভেলপার । আপনি কাজটি দেশের কোন কোম্পানীতে না করে আমেরিকার কোন কোম্পানীতে করছেন । খুব সিম্পলি নিজের পরিচয় দিন এইভাবে : ”আমি আমেরিকান বা অমুক দেশের একটা কোম্পানীতে ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে জব করি । অনলাইনে ঘরে বসে কাজ করি এবং তারা আমাকে প্রতি মাসে আমার ব্যাংক একাউন্টে সেলারী ট্রান্সফার করে ।” ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সাথে এখন সবাই পরিচিত । যার ফরে প্রশ্নকর্তা অনলাইন সম্পর্কে একদম অভিজ্ঞ না হলেও এটা বুঝবে যে অনলাইনের মাধ্যমে বিদেশী কোম্পানীতে কাজ করা যায় । এইভাবে সামাজিকভাবে আপনার পরিচয় বললে মানুষ খুব সহজে বুঝতে পারবে যে: ১. আপনি যেহেতু বিদেশী কোম্পানীতে কাজ করেন তাই আপনি অবশ্যই অনেক বেশী যোগ্যতা সম্পন্ন । ২. বিদেশী কোম্পানীতে ভাল সেলারী । স্বাভাবিকভাবে আপনার ইনকাম দেশের কোম্পানীতে চাকরী করা ছেলেদের চেয়ে বেশী । ৩. আপনি বাংলাদেশের আরো দশটা ছেলের চাইতে অনেক বেশী চৌকশ ও মেধাবী । ৪. আপনি আপনার এলাকার একজন আইকনিক ফিগারে পরিণত হতে পারবেন এবং সবাই আপনার এক্সজাম্পল দিবে । সত্যিকার অর্থেই আমরা ফ্রিল্যান্সিং করি না । ফ্রিল্যান্সিং হল ইচ্ছা হলে করলাম ইচ্ছা হলে করলাম না । তার মানে খুব সিরিয়াস না । কিন্তু আমরা খুবই সিরিয়াস কিন্তু আমরা এটাকে পরিপূর্ণ পেশা হিসেবে বিদেশী কোন কোম্পীতে স্থায়ী চাকরী করি । এমনকি বিদেশী কোন বায়ারকে যদি আপনি পরিচয় দেন যে আপনি ”ফ্রিল্যান্সার” তবে সে আপনার উপর স্বাভাবিকভাবেই আস্থা রাখতে পারবে না । কারণ সে মনে করবে আপনি তার কাজটি খুব গুরুত্বের সাথে করবেন না । সুতারং নিজেকে পরিচয় দিন আমি ডিজিটাল মার্কেটোর বা গ্রাফিক ডিজাইনার বা ওয়েব ডেভেলপার বা অন্যান্য । এবং বলুন যে আপনি বিদেশী কোম্পানীতে চাকরী করেন। এটা ১০০% সত্য । ফাইভার , আপওয়ার্ক, আমেরিকা বা ইউরোপের বড় বড় কোম্পনী সবাই বিদেশী কোম্পানী । সুতরাং এতদিন আপনি যদি নিজেকে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন এটা ভুল ছিল । এখন থেকে সঠিকভাবে নিজের পরিচয় ‍দিন । চৌধুরী সাহেবরা আপনার পিছনে লাইন ধরবে । এটি জামাল স্যারের লেখা । জামাল স্যারের ফ্রিল্যান্সিং সংক্রান্ত সকল লেখা, ভিডিও এবং টিউটোরিয়াল পেতে ফেসবুক, গুগল এবং ইউটিউবে সার্চ করুন । যেগুলো দেখে আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ফ্রিল্যান্সিং শিখে খুব দ্রুত ইনকাম শুরু করতে পারবেন । ফ্রিল্যান্সিং সহজ নাকি কঠিন ? শিখলে খুব খুব সহজ । আর ভালভাবে না শিখে করতে গেলে খুবই কঠিন এবং অসম্ভব । আপনার শিখাটা হবে যত কঠিনভাবে অর্থাৎ বিস্তারিতভাবে কাজ করাটা তত সহজ হবে । আর শিখাটা যত সংক্ষিপ্ত হবে কাজ করাটা তত জটিল হবে । আপনি প্রতি পদে পদে আটকে যাবেন । যে ছেলে প্রতি মাসে ৫ লাখ টাকা ইনকাম করে তাকে বলতে শুনবেন যে ফ্রিল্যান্সিং খুবই সহজ জিনিস । আর যে এখনো তেমন কোন ইনকাম করতে পারে নাই সে বলবে- এটার মত কঠিন জিনিস দুনিয়াতে নাই । আসলে কোনটা সত্যি । আসলে দুটাই সত্যি । প্রথমজন এত ভালভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে যে সে অন্ধকারেও হাঁটতে পারবে । আর দ্বিতীজন মনে করেছে পথ চলা টা খুব সহজ । তাই কোন রকম প্রস্তুতি না নিয়েই, পথের সমস্যাগুলো না বুঝে, সমাধান না শিখে হাঁটা শুরু করেছে । যা হবার তাই হবে । হোঁচট খেয়ে পড়ে যাবে । একবার হোঁচট খেয়ে ব্যাথা পেলে সে মনে করবে পথটাই খারাপ । আসলে পথ ঠিকই আছে । একই পথে হেঁটে অনেকেই পর্বতের চূড়ায় উঠছে । জাষ্ট নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন । ফ্রিল্যান্সিং আপনার কাছে পানির মত সহজ হয়ে যাবে এবং আপনি নিশ্চিতভাবে প্রথম মাস থেকে ইনকাম শুরু করতে পারবেন : ১. প্রথমে খুব সহজ কিছু কাজ শিখুন যেমন: ফেসবুক ফ্রি মার্কেটিং, ভার্চুয়াল এসিসটেন্ট, ডাটা এন্ট্রি, লিডস জেনারেশন, ফেসবুক বিজনেস পেইজ ক্রিয়েট, ইউটিউব চ্যানেল তৈরী ইত্যদি । এর মধ্য থেকে যে কোন ৪/৫ টি কাজ খুব ভালভাবে শিখুন । ২. কয়েকবার টিউটোরিয়াল দেখলে আপনি কাজটি শিখতে পারবেন কিন্তুু সেই শিখা কোন কাজে আসবে না । আপনাকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে । আর দক্ষতা অর্জনের জন্য একই কাজ কমপক্ষে ১০/১২ বার করতে হবে । ৩. প্রবলেম সলিউশন: কাজটি করতে গিয়ে আপনি অনেক জায়গায় আটকে যাবেন । যেখানে আটকে যাবেন সেখানে ফোকাস করুন । সমস্যার গভীরে যান । গুগল ও ইউটিউব সার্চ করে সমস্যার সমাধান করুন । আপনি আমাদের পেইড স্টূডেন্ট হলে সকাল ১০ টা থেকে রাত ৩ টা পর্যন্ত মোট ১৬ ঘন্টা আমাদের সাপোর্ট টীম এই রকম সমস্যাগুলো সমাধান করে । তাছাড়া আমাদের টিউটোরিয়ালের মধ্যেও প্রতিটা পয়েন্টে বলা থাকে আপনি কোথায় কোথায় প্রবলেম এ পড়তে পারেন এবং সেটার সমাধান কি হবে । যাহোক প্রবলেম সলিউশন ক্যাপাবিলিটি তৈরী হলেই আপনি পরিপূর্ণ প্রফেশনাল । তখন আপনি সাবলীলভাবে কাজ করতে পারবেন । এবং অনেক বেশী সেলারী পাবেন । একটা উদাহরণ দিই : মনে করুন একটা ব্যাংকে ম্যানেজার এবং জুনিয়র অফিসার দুজনই এম.বি. এ পাশ কিন্তু একজন সেলারী পায় ২লাখ টাকা আর আরেকজন পায় মাত্র ২০ হাজার টাকা। পার্থক্য কি ? দুজনের তো সেইম কোয়ালিফিকেশন ! পার্থক্য হলে প্রবলেম সলিউশন ক্যাপাবিলিটি । জুনিয়র অফিসারকে যেভাবে কাজ শিখানো হবে সেইভাবে করতে পারবে আর ম্যানেজার ঐ কাজের মধ্যে যত রকম প্রবলেম হবে সকল প্রবলেম সলিউশন দিতে পারবেন । তাই আপনি যদি প্রবলেম সলভ করতে পারেন তবে আপনি সাধারণ থেকে অসাধারণ হবেন । এখন কিভাবে প্রবলেম সলিউশন স্কীল বাড়াব ? কাজের মধ্যে ডুবে থাকুন । সমস্যা আসলে ভয় না পেয়ে লেগে থাকুন । নিশ্চিতভাবে আপনি সেটার সমাধান করতে পারবেন । আর যতি সমাধান করবেন তত আপনার দক্ষতা বাড়তে থাকবে সাথে বাড়বে আপনার কনফিডেন্স । ৪. কাজ শিখার পর খুব ভালভাবে স্যাম্পল তৈরী করুন । শুধু স্যম্পল তৈরী করলেই হবে না খুবই প্রফেশনাল মানের স্যাম্পল হতে হবে । আপনাকে কাজ দেয়ার আগে আপনার কাজের মান যাচাই করার জন্য বায়ার আপনার স্যাম্পল দেখতে চাইবে । ভাল স্যাম্পল দেখাতে পারলে নিশ্চিতভাবে কাজ পাবেন, বেশী সেলারীতে কাজ পাবেন । প্রতিটি কাজের জন্য কিভাবে স্যাম্পল তৈরী করবেন তা নিয়ে আমাদের প্রচুর ভিডিও আছে । ৫. খুব ভাল মানের প্রফেশনাল গিগ তৈরী করতে হবে । ৭. বায়ার রিকোয়েষ্ট রিপ্লাই এবং বায়ারের সাথে ইন্টারভিউ করা শিখতে হবে । এই সংক্রান্ত আমাদের প্রচুর ভিডিও ক্লাস পাবেন ইউটিউবে । উপরের সাতটি ধাপ ফলো করতে আপনার বড়জোড় একমাস সময় লাগবে । প্রতিদিন যদি আপনি ১২ ঘন্টা করে সময় দেন তবে মোট ৩৬০ ঘন্টা । এই ৩৬০ ঘন্টা উপরের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রস্তুতি নিলে আপনি নিশ্চিতভাবে ১ম মাস থেকে ইনকাম শুরু করতে পারবেন । এবং নিশ্চিতভাবে প্রতি মাসে ৩০ হাজার প্লাস ইনাকম করতে পাবেন জাষ্ট এক মাসের প্রস্তুতি দিয়ে । এর পর আপনি যত এডভান্সড লেভেলের কাজ শিখবেন তত ইনকাম বাড়তে থাকবে । আপনার কাজ আরে সহজ করার জন্য আমি উপরের বর্ণনা অনুযায়ী সবগুলো টিউটোরিয়াল সাজিয়ে আমাদের ফ্রি কোর্স তৈরী করেছি । আপনি জাষ্ট এই লিংকটা ফলো করলে ৪০ টা টিউটোরিয়াল পাবেন, এগুলো ধারাবাহিকভাবে দেখুন । একদম সহজভাবে এবং ধারাবাহিকভাবে সবকিছু বুঝতে পারবেন এবং কারো সহযোগিতা ছাড়া ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন । প্রতি শনিবার রাত ৮ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত ফ্রি স্টূডেন্টদের জন্য ফ্রি সাপোর্ট দেয়া হয় । এটি জামাল স্যারের লেখা । জামাল স্যারের ফ্রিল্যান্সিং সংক্রান্ত সকল লেখা, ভিডিও এবং টিউটোরিয়াল পেতে ফেসবুক, গুগল এবং ইউটিউবে সার্চ করুন । যেগুলো দেখে আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ফ্রিল্যান্সিং শিখে খুব দ্রুত ইনকাম শুরু করতে পারবেন । যারা এখনো ভালভাবে কম্পিউটার, ইন্টারনেট বা ইংলিশ জানেন না তারা কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন ? আপনি যদি একদম নতুন হয়ে থাকেন অর্থাৎ কম্পিউটার, ইন্টারনেট, ইংলিশ এ একদম জিরো হয়ে থাকেন এবং ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে তেমন কিছু না জানেন তবে আপনার জন্য কোন কাজটি উপযুক্ত হবে । কিভাবে, কোন কাজ দিয়ে আপনি প্রথম মাস থেকে ইনকাম শুরু করবেন । বুঝিয়ে বলছি । ১. কম্পিউটার ও ইন্টারনেট: একদমই যদি কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহার করতে না পারেন তবে আমাদের বেসিক কম্পিউটার ও বেসিক ইন্টারনেটের ভিডিও টিউটোরিয়াল আছে । শুধুমাত্র আমাদের এই টিউটোরিয়াল গুলো দেখেই পরিপূর্ণভাবে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট শিখতে পারবেন । কোন কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার থেকে ৩ মাসে যা শিখবেন তার চাইতে ভালভাবে শিখতে পারবেন আমাদের ইন্সটিটিউট থেকে এই টিউটোরিয়াল গুলো দেখে । একদমই ফ্রি । এগুলো আগে ভালভাবে দেখুন, শিখুন তারপর আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর মূল কোর্স শুরু করতে পারবেন । ২. ইংলিশ: অনেকেই টেনশন করেন যে ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে বায়াররের সাথে ভিডিও কলে কথা বলতে হবে । না, একদমই না । বায়াররা কখনো ভিডিও কলে কথা বলে না । সবসময় লিখে লিখে কথা বলে । কারণ কাজের বিষয়গুলো লিখে বুঝানো যত সহজ মুখে কথা বলে বুঝানে অনেক কঠিন । তাই বায়ার রা শুধুমাত্র লিখে লিখে কথা বলে । আপনি বন্ধুর সাথে যেভাবে ফেসবুকে চ্যাট করেন ঠিক সেইভাবে বন্ধুর মত বায়ার আপনার সাথে লিখে লিখে চ্যাট করবে । যাহোক ইংলিশ নিয়ে ভয়ের কিছু নাই । তবে আপনি ইংলিশে যত ভাল বা যত খারাপ হোন না কেন আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং এর উপযোগী করে ইংলিশ শিখতে হবে । জেনারেল ইংলিশ একরকম আবার ফ্রিল্যান্সিং ইংলিশ একটু ভিন্ন রকম । ফ্রিল্যান্সিং ইংলিশ হল টেকনিক্যাল ইংলিশ । কোন ইংলিশ ট্রেনিং সেন্টার ফ্রিল্যান্সিং এর উপযোগী টেকনিক্যাল ইংলিশ শেখায় না । ফ্রিল্যান্সিং ইংলিশ নিয়ে আমাদের একটা ভিডিও ক্লাস আছে । জাষ্ট এটা দেখেই আপনি পরিপূর্ণভাবে ফ্রিল্যান্সিং ইংলিশ শিখতে পারবেন । ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য সহজ কাজ: ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য সহজ কাজগুলো হল: ফেসবুক ফ্রি মার্কেটিং, লিডস জেনারেশন, ডাটা এন্ট্রি, ভার্চুয়াল এসিসটেন্ট, ক্লাসিফাইড পোষ্টিং, লিংক বিল্ডিং, ফেসবুক বিজনেস পেইজ তৈরী, ইউটিউব চ্যানেল তৈরী ইত্যাদি । এই কাজগুলো থেকে যে কোন ৩টি কাজ খুব ভালভাবে শিখুন । কোন তিনটি শিখবেন ? যেগুলো আপনার কাছে সহজ লাগে সেগুলো শিখবেন । কাজ শিখার পর ঐ কাজের জন্য গিগ তৈরী করবেন । েভালভাবে গিগ তৈরী করলে বিভিন্ন বায়াররা আপনার গিগ অর্থাৎ আপনার কাজের বিবরণ দেখে আপনাকে রিকোয়েষ্ট পাঠাবে । আপনার সাথে চ্যাট করবে এবং হায়ার করবে । পাশাপাশি আপনি ফাইভারের বাইরে বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়াতে আপনার গিগটি অর্থাৎ আপনার সার্ভিস অফারটি শেয়ার করবেন । মোট সময় কতদিন লাগবে: ৩টা কাজ শিখতে ৬ দিন, ৩ টা গিগ তৈরী করতে ৩ দিন= মোট ৯দিন । তারপর এপ্লাই করা, কাজ করা, জমা দেয়া, পেমেন্ট ট্রান্সফার এই সবকিছু মিলে আনুমানিক ১৫ দিন । তার মানে আপনি যদি আজ ডিটারমাইন্ড হয়ে বসে যান যে আপনি এক মাসের মধ্যে ইনকাম শুরু করবেন এবং প্রতিদিন ১২ ঘন্টা করে সময় দেয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন তাহলে ১০০% নিশ্চিত যে আপনি ১ম মাস থেকে ইনকাম শুরু করতে পারবেন । আর যদি কোন রকম চেষ্টা করেন তাহলে বছরের পর বছর চলে যাবে কিন্তু সফল হওয়া যাবে না । কিভাবে এগুলো শিখব: আপনাকে এগুলো শিখার জন্য এক টাকাও খরচ করতে হবে না । জাষ্ট আমাদের ওয়েব সাইটের ফ্রি কোর্স বাটনে সবকিছু খুব সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে দেয়া আছে । কাজ, গিগ তৈরী, স্যাম্পল তৈরী, বায়াররের সাথে ইন্টারভিউ ইত্যাদি সবকিছু খুব সুন্দরভাবে গুছিয়ে দেয়া আছে । আপনি শুধুমাত্র ১ নং ভিডিও থেকে ৪০ নং ভিডিও পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে দেখে যাবেন । ভিডিও ক্লাস দেখবেন এবং ভিডিও ক্লাসে যা শিখানো হয়েছে তা শিখবেন, যেভাবে প্র্যাকটিস করতে বলা হয়েছে সেভাবে প্র্যাকটিস করবেন । কোথাও কোন প্রবলেম হলে প্রতি শনিবার রাত ৮টায় আমাদের ফ্রি সাপোর্ট এ আসবেন । শুধুমাত্র এই ৩টি কাজ দিয়েই আপনি প্রতি মাসে ২০/৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন । তারপর এডভান্সড লেভেলের কাজগুলো শিখাতে প্রতিদিন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রতিদিনের এডভান্সড ক্লাসগুলো দেখে কঠিন কাজগুলো শিখুনা । যত কঠিন কাজ শিখবেন তত ইনকাম বাড়াতে থাকবে । ক্রমান্বয়ে আপনি মাসে ৭০/৮০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন । এখন দুনিয়ার সবকিছু বাদ দিয়ে জাষ্ট এই লিংকে ক্লিক করে ধারাবাহিকভাবে ভিডিওগুলো দেখুন এবং প্র্যাকটিস করুন । ভিডিও গুলো নতুনদের জন্য উপযোগী তাই আপনার বুঝতে বিন্দুমাত্র সমস্যা হবে না। ধন্যবাদ । লেখক: মো: ফরহাদ হোসেন । লেখকের ফ্রিল্যান্সিং সংক্রান্ত সকল লেখা, ভিডিও এবং টিউটোরিয়াল পেতে “farhad Sir Free Course” বা “ farhad Sir Tutorial” লিখে গুগল বা ইউটিউবে সার্চ করুন । যেগুলো দেখে আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ফ্রিল্যান্সিং শিখে খুব দ্রুত ইনকাম শুরু করতে পারবেন । কোথায় সহজে ফ্রিল্যান্সিং জব পাবেন ? মূলত কয়েক ভাবে ফ্রিল্যান্সিং কাজ পাওয়া যায়: ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে: অনেকগুলো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস আছে যেমন : Fiverr, Upwork, People per hour, Freelancer.com, Microworkers ইত্যাদি । এই সকল মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট খুলতে হবে, সেখানে খুব সুন্দরভাবে প্রোফাইল তৈরী করে এপ্লাই করতে হবে । তবে একাউন্ট খোলার আগে অবশ্যই অবশ্যই আপনাকে ভালভাবে কাজ শিখতে হবে । কাজ না শিখে এপ্লাই করলে আপনার একাউন্ট সাসপেন্ড হয়ে যাবে । সোস্যাল মিডিয়া: ফেসবুকের বিভিন্ন বায়ার গ্রুপ, বা জব গ্রুপ যেমন: Digital marketing group, Graphic design group, web development group. এই রকম বিভিন্ন কাজ সংক্রান্ত গ্রুপে প্রচুর বায়ার কানেক্ট থাকে । আপনি কি কি কারতে পারবেন তা বিস্তারিত লিখে একটি সুন্দর ব্যানর সহ পোষ্ট করলে প্রচুর বায়ার আপনাকে নক করবে । খুব সহজেই আপনি কাজ পাবেন । ফেসবুক ছাড়াও ইন্সটাগ্রাম, টুইটার, লিংকডইন ইত্যাদি । তবে সবচাইতে ইফেক্টিভ হল লিংকড ইন । বায়ারের খনি বলা হয় লিংকড ইনকে । ট্রেডিশনাল জব সাইট: বাংলাদেশের একটি ট্রেডিশনাল জব সাইট হল bdjobs.com, বাংলাদেশে এই রকম আরো অনেকগুলো জব সাইট আছে যেখানে সকল ধরনের চাকরী পাওয়ার যায় । এগুলো ফ্রিল্যান্সিং জব সাইট না, সাধারণ জব সাইট । কিন্তু এই সাধারণ জব সাইটে আপনি আপনার চাকরী খুঁজতে পারবেন । যেমন আপনি এই সকল জব সাইটে ” Digital Marketing, Grphic design, web development, ইত্যাদি লিখে সার্চ করলে প্রচুর চাকরী পাবেন । এই চাকরীগুলো আপনি চাইলে তাদের অফিসে গিয়ে করতে পারবেন আবার চাইলে নিজের ঘরে বসেও করতে পারবেন । ঠিক এই রকম পৃথিবীর প্রত্যেক দেশে এক বা একাধিক ট্রেডিশনাল জব সাইট আছে । দেশের নাম দিয়ে গুগলে সার্চ করলেই পাবেন । যেমন: job site in Zermany, Job site in india, Job site in Italy ইত্যাদি । এই ভাবে সারা বিশ্বব্যাপী প্রত্যেক দেশে আপনি জব সার্চ করতে পারবেন । কোম্পানী যে দেশেরই হোক না কেন আপনি নিজের ঘরে বসে কাজ করতে পারবেন । কোম্পানী আপনার ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা দিবে । ক্রেইগলিষ্ট: সারা পৃথিবীর সবচাইতে বড় চাকরীদাতা সাইট হল আমেরিকার Craigslist.com আপনি ক্রেগলিষ্ট এর মাধ্যমে আমেরিকার ৫০ টি স্টেটে জব সার্চ করতে পারবেন । প্রচুর চাকরী আপনি এইভানে পাবেন । মনের সুখে এপ্লাই করতে থাকুন । সরাসরি বায়ার: মনে করুন আপনি বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যালস সেক্টরে চাকরী পেতে চাচ্ছেন । তাহলে আপনি গুগলে সার্চ করুন: Pharmaceuticals Company Bangladesh List এইভাবে বাংলাদেশের সবগুলো ঔষধ কোম্পানীর ওয়েবসাইট পাবেন । এখন এই প্রত্যেক কোম্পানীর কন্টাক্ট অপশনে যান – সেই কোম্পানীর ইমেইল পাবেন । এখন আপনি তাদেরকে আপনির সিভি মেইল করতে পারেন । তবে শুধু সিভি মেইল করলে কোন লাভ হবে না । খুব সুন্দভাবে গুছিয়ে লিখতে হবে আপনি কেন তাদের কোম্পানীতে কাজ করতে চান, আপনি তাদেরকে কি কি বেনিফিট দিতে পারবেন বা তাদের কি কি সমস্যা সমাধান করতে পারবেন । এইভাবে আপনি সারাপৃথিবীর যে কোন দেশের যে কোন সেক্টরেরর সকল কোম্পানীকে খুঁজে বের করতে পারবেন এবং সেই সকল কোম্পানীতে জব এপ্লাই করতে পারবেন । আপানর এক টাকাও খরচ হবে না । সুতরাং বুঝতেই পারছেন সারা বিশ্বব্যাপী আপনি এপ্লাই করতে পারবেন । আপনি শুধু বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে সীমাবন্ধ নয় । সবচাইতে মজার বিষয় হল যতই এপ্লাই করেন আপনার এক টাকাও খরচ হবে না । এপ্লাই করবে অনলাইনে , সিভি পাঠাবেন অনলাইনে, ইন্টারভিউ, কাজ করা, জমা দেয়া, পেমেন্ট নেয়া সবকিছুই অনলাইনে । আপনার অতিরিক্ত কোন খরচ হবে না । কোন ব্যাংক ড্রাফট বা চালন বা পরীক্ষার ফিস লাগবে না । আরো মজার বিষয় হল সারা বিশ্বব্যাপী চাকরী প্রার্থী খুবই কম কিন্তু চাকরী দাতা অনেক বেশী । সুতরাং চাকরীর কোন অভাব নাই । এখন দরকার শুধু খুব ভালভাবে কাজ শিখা । লেখক মো: ফরহাদ হোসেন সি. ই. ও আউটসোর্সিং ইন্সটিটিউট । ফ্রিল্যান্সিং করতে কি রকম কম্পিউটার লাগবে ? ল্যাপটপ নাকি ডেক্সটপ: ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য অবশ্যই ল্যাপটপ ভাল হবে । কারণ এটি পোর্টেবল, যেখানে ইচ্ছা সেখানে নিয়ে যেতে পারবেন এবং ইলেকট্রিসিটি চলে গেলেও ব্যাটারী ব্যাকআপ পাবেন । তাছাড়া ল্যাপটপের সাথে মাইক্রোফোন, ওয়েব ক্যাম এবং ওয়াই ফাই ডিভাইস ইত্যাদি প্রয়োজনীয় সকল কম্পোনেন্ট লাগানো থাকে যেগুলো ডেক্সটপে থাকে না । যার ফলে সবদিকের বিবেচনায় ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ল্যাপটপই বেষ্ট । কিন্তু যদি আপনার আগে থেকে ডেক্সটপ থেকে থাকে তাহলে ওইটা দিয়েই কাজ চালাতে পারবেন জাষ্ট ইলেকট্রিসিটি বেকাপ এর জন্য একটি ইউ.পি. এস কিনতে পারেন । কি রকম কনফিগারেশন লাগবে: ৪ জি.বি র‌্যাম, ২৫৬ জিবি হার্ডডিক্স, ১৪ ইঞ্চি মনিটর, Core i3 প্রসেসর । এতটুকু হলেই অনেক ভালভাবে ফ্রিল্যান্সিং করা যাবে । এটা হল মিনিমাম কনফিগারেশন তবে এর চাইতে বেশী হলে কোন সমস্যা নাই । নতুন নাকি পুরাতন: নতুন বা পুরাতন কোন ব্যাপার না । কাজ হলেই হবে । আমাদের বেশীরভাগ স্টূডেন্ট পুরাতন ল্যাপটপ দিয়েই শুরু করে এবং ২/৩ মাস পর ফ্রিল্যান্সিং এর ইনকাম দিয়েই নতুন ল্যাপটপ কেনে । লোডশেডিং এর সময় কিভাবে ওয়াই ফাই চালাবেন ? ইলেকট্রিসিটি চলে গেলেই ওয়াই-ফাই বন্ধ হয়ে যায় । আসলে আপনার ইন্টারনেট সেবা ঠিকই চালু থাকে জাষ্ট আপনার রাউটার বন্ধ হয়ে যায় । কোন ভাবে বিকল্প পাওয়ার সোর্স দিয়ে যদি আপনার রাউটারটি চালু রাখতে পারেন তবে আপনি লোড শেডিং এর মধ্যেও নিরবিছিন্ন ইন্টারনেট সেবা পাবেন । এটার জন্য জাষ্ট আপনার ওয়াই ফাই রাউটারের সাথে একটি মিনি ইউ.পি. এস লাগিয়ে ফেলুন । এই মিনি ইউ.পি. এস বিদ্যুত না থাকলেও ৮ ঘন্টা আপনার রাউটারকে চালু রাখবে । এটার সাইজ হল একটি মোবাইল ফোনের সমান । যেকোন অনলাইন শপ বা সরাসরি কম্পিউটারের দোকনে পাবেন । ডিভাইসটির আনুমানিক মূল্য ১,৫০০ টাকা । জাষ্ট গুগলে সার্চ করুন: “mini ups for router price in bangladesh” এটি ফরহাদ স্যারের লেখা । ফরহাদ স্যারের ফ্রিল্যান্সিং সংক্রান্ত সকল লেখা, ভিডিও এবং টিউটোরিয়াল পেতে ফেসবুক, গুগল এবং ইউটিউবে সার্চ করুন । যেগুলো দেখে আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ফ্রিল্যান্সিং শিখে খুব দ্রুত ইনকাম শুরু করতে পারবেন । কিভাবে প্রথম মাস থেকে ফ্রিল্যান্সিং ইনকাম শুরু করবেন ? ধরে নিচিছ ফ্রিল্যান্সিং সংক্রান্ত আপনার তেমন কোন আইডিয়া নাই আর কম্পিউটার, ইন্টারনেট এবং ইংলিশের স্কিল একদম বেসিক লেভেলের । তাহলে এখান থেকে শুরু করে কিভাবে আপনি প্রথম মাস থেকে ইনকাম শুরু করবেন তার শর্টকাট টেকনিকগুলো বলছি: ১. খুব সহজ কাজ দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করুন । যেমন: ফেসবুক ফ্রি মার্কেটিং, লিডস জেনারেশন, লিংক বিল্ডিং, ভার্চুয়াল এসিসটেন্ট, ক্লাসিফাইড পোষ্টিং, ফেসবুক বিজনেস পেইড ক্রিয়েট এবং ইউটিউব চ্যানেল তৈরী ইত্যাদি । কঠিন কাজ দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করলে ৬ মাসের আগে ইনকাম ইনকাম করা খুব কঠিন হবে তাই শুরুতে এই সহজ কাজগুলো দিয়ে শুরু করুন । তারপর ক্রমান্বয়ে কঠিন কাজগুলো শিখুন । যত বেশী এডভান্সড লেভেলের কাজ শিখবেন তত ইনকাম বাড়তে থাকবে । ২. আপনি যে ভাল কাজ পারেন তার প্রমাণ হিসেব খুব ভাল মানের স্যাম্পল তৈরী করুন । কাজ দেয়ার আগে বায়ার আপনার স্যাম্পল দেখতে চাইবে । স্যাম্পল যদি ভাল হয় তাহলে সে আপনাকে নিশ্চিতভাবে কাজ দিবে এবং বেশী রেইটে কাজ দিবে । ভাল স্যাম্পলের মাধ্যমে অনেক ফ্রিল্যান্সারের ভিড়ে আপনি নিজের যোগ্যতা তুলে ধরতে পারবেন । ৩. প্রফেশনাল মানের গিগ তৈরী করুন যেন বায়ার আপনার গিগটি দেখেই মুগ্ধ হয় এবং আপনার জ্ঞনের গভীরতা অনুধাবন করতে পারে । ৪. গিগ পাবলিশ করার পর অনেক বায়ার আপনাকে রিকোয়েষ্ট পাঠাবে । ভালভাবে বায়ার রিকোয়েষ্ট রিপ্লাই করা শিখুন । অনেকেই মনে করে জাষ্ট ২/৪ লাইনে বায়ার রিকোয়েষ্ট রিপ্লাই করলেই হয় । একদমই না । এটা একটা টেকনিক্যাল বিষয় । কাজের প্রতিটা সেনসেটিভ পয়েন্ট যে আপনি কোয়লিটি দিয়ে করতে পারবেন তা বুঝাতে হবে । খুব ভালভাবে বায়ার রিকোয়েষ্ট রিপ্লাই এর হিডেন সিক্রেট বিষয়গুলো আপনাকে শিখতে হবে । ৫. আপনার রিপ্লাই বায়ারের পছন্দ হলে সে আপনার সাথে ইন্টারভিউ অর্থাৎ লিখে লিখে চ্যাট করবে । ইন্টারভিউ করার সময় আপনি কত ভালভাবে তার জন্য কাজটি করতে পারবেন, আপনি কেন কাজটি করার জন্য যোগ্য তা ভালভাবে বুঝাবেন । সেলারী কম চাইলে বায়ার কখনো ইমপ্রেস হবে না বরং আপনাকে অযোগ্য মনে করবে । তাই যৌক্তিক সেলারী চাইবেন । আপনি যদি টেকনিকগুলো শিখেন তাহলে নিশ্চিতভাবে বায়ারকে কনভিন্সড করতে পারবেন এবং সে আপনাকে হায়ার করবে । তারপর কাজ করবেন জামা দিবেন এবং আপনার ব্যাংক একাউন্টে সেলারী জমা হবে । ৬. ফাইভারের, আপওয়ার্ক ইত্যাদি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের বাইরে ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম এবং লিংকড ইন থেকে প্রচুর কাজ পাওয়া যায় এবং বড় বড় বায়ার পাওয়া যায় । ফ্রিল্যান্সিং এর বেশীরভাগ কাজই এই সকল সোস্যাল মিডিয়াতে পাওয়া যায় । আপনাকে শিখতে হবে কিভাবে এই সোস্যাল মিডিয়াগুলো থেকে কিভাবে বায়ার পাবেন এবং তাদের সাথে যোগাযোগ করবেন । ৭. আপনি বড় বড় বিদেশী কোম্পানীতে সরাসরি জব সিভি সাবমিট করে কাজ পাবেন । ৮. Craigslist.com হল আমেরিকার সবচাইতে বড় চাকরিদাতা সাইট । এখানে খুব ভাল রেইটে অসংখ্য জব পাবেন ৯. বাংলাদেশের একটি ট্রেডিশনাল জব সাইট হল bdjobs.com ঠিক তেমনি সারা পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেখে এই রকম জবসাইট আছে । যে দেশে জব করতে চান সেই দেশের ট্রেডিশনাল জবসাইট খুঁজে বের করুন এবং সেখানে এপ্লাই করুন । কাজ পাওয়ার এতগুলো ওয়ে দেখে টেনশনের কিছু নাই । যে কোন একটাতে কাজ পেলে বাকীগুলো ট্রাই করতে হবে না । পরিশেষে এটাই বলব আপনি যদি ভালভাবে কাজ শিখেন, প্রফেশনাল গিগ তৈরী করেন, হাই কোয়ালিটি স্যাম্পল তৈরী করেন, বায়ার রিকোয়েষ্ট রিপ্লাই ও ইন্টারভিউর টেকনিকগুলো শিখে এবং কাজ পাওয়ার জন্য যতগুলো মাধ্যম উপরে বললাম সবগুলো মাধ্যমে যদি কাজ পাওয়ার ট্রাই করেন তাহলে নিশ্চিতভাবে আপনি প্রথম মাস থেকে ইনকাম শুরু করতে পারবেন ইনশাল্লাহ । অনেকেই সফল হয় না না সঠিকভাবে না জানার কারণে বা ভুল গাইডলাইনের কারণে । এখন আপনি উপরের সবকিছু ভুলে গিয়ে জাষ্ট আমাদের এই ফ্রি কোর্সের লিংকটি ফলো করুন । এখানে আমি উপরের বর্ণনা অনুযায়ী সবগুলো টিউটোরিয়াল সাজিয়ে দিয়েছি । আপনি শুধুমাত্র প্রতিদিন ১২ ঘন্টা সময় দিবেন এবং ভিডিওগুলো দেখবেন, শিখবেন, প্র্যাকটিস করবেন, এপ্লাই করবেন । ইনশাল্লাহ আপনি সফল হবেনই হবেন । ধন্যবাদ । লেখক: মো: জামাল উদ্দিন । লেখকের ফ্রিল্যান্সিং সংক্রান্ত সকল লেখা, ভিডিও এবং টিউটোরিয়াল পেতে “farhad Sir Free Course” বা “ farhad Sir Tutorial” লিখে গুগল বা ইউটিউবে সার্চ করুন । যেগুলো দেখে আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ফ্রিল্যান্সিং শিখে খুব দ্রুত ইনকাম শুরু করতে পারবেন । কোন কোন উপায়ে অনলাইন থেকে আয় করা যায় অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং করা যায়? অনেক অনেক ভাবে অনলাইন থেকে আয় করা যায় অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং করা যায় । সবগুলো ইনকাম সোর্স সম্পর্কে জানাটা খুব জরুরী । কারণ একটাতে না হলে আরেকটাতে নিশ্চিতভাবে সফলতা পাবেন । ফ্রিল্যান্সিং ইনকামের সোর্সগুলো কি কি: ১. মার্কেটপ্লেস থেকে আয়: Fiverr, Upwork, Freelancer dot com, People per Hour, Get a Coder ইত্যাদি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটিপ্লেসে বায়ারের কাজ করা । সাধারণত সবাই মনে করে এটাই একমাত্র ফ্রিল্যান্সিং ! কিন্তু এটি ফ্রিল্যান্সিং এর একটি শাখা মাত্র । ২. ইউটিউব চ্যানেল তৈরী করে ইনকাম: খুব সহজে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরী করে সেখানে ভিডিও আপলোড করে আয় করতে হবে । আপনার ভিডিওতে ইউটিউব বিভিন্ন কোম্পানীর বিজ্ঞাপন দেখাবে । ইউটিউবের বিজ্ঞাপন থেকে যা আয় হবে তার ৫০% আপনাকে দিবে । মোটামেটি এক লাখ সাবসক্রাইবার আছে এই রকম চ্যানেল থেকে মাসে আনুমানিক ৩০- ৫০ হাজার টাকা এবং ৫ লাখের বেশী সাবসক্রাইযুক্ত চ্যানেল থেকে আনুমানিক মাসে ২ লাখ টাকার বেশী ইনকাম হয় । প্রতি মাসের ২৫ তারিখ ইউটিউব সরাসরি আপনার ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা করে দিবে । ৩. ফেসবুক পেইজ থেকে ইনকাম: একটি ফেসবুক পেইজ তৈরী করে সেখানে প্রতিদিন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তথ্যভিত্তিক বা মানুষের কাজে লাগে এমন পোষ্ট বা ভিডিও দিতে হবে । আপনার সেই সকল কন্টেন্ট যখন মানুষ দেখবে তথন ফেসবুক সেগুলোর উপর বিভিন্ন কোম্পানীর বিজ্ঞাপন দেখাবে । এতে ফেসবুকের বিজ্ঞাপন থেকে যে আয় হবে তার ৫০% আপনাকে দিবে । সেইম ইউটিউবের মত । ৪. এমাজন এফিলিয়েটস মার্কেটিং: আপনি এমাজনের এক বা একাধিক পণ্যের লিংক নিয়ে ফেসবুক, ইউটিউব এবং গুগলে প্রচার চালাতে পারেন । আপনার এই এফিলিয়েট লিংকে ক্লিক করে কেউ এমাজন থেকে ঐ প্রোডাক্ট কিনলে তারা আপনাকে ৫%-৩০% কমিশন দিবে । ৬. টি শার্ট ডিজাইন বাই টি-স্প্রীং: TeeSpring নামের একটি কোম্পানী আছে যেখানে আপনি টি শার্টে প্রিন্ট করার জন্য বিভিন্ন ডিজাইন জমা রাখতে পারবেন । যত বেশী মানুষ আপনার ডিজাইনটি কিনতে তার একটা পারসেন্টেজ আপনাকে তারা দিবে । অর্থাৎ আপনার তৈরী করা ডিজাইনটি তারা টি শার্টে প্রিন্ট করে কাষ্টমারকে ডেলিভারী করবে । একটি ট্রেন্ডি ডিজািইন তৈরী করলে একটা ডিজাইনই হাজার হাজার বিক্রি হয় এবং জাষ্ট একটি থেকেই ৫/৭ লাখ টাকা আয় হয় । ৭. অনলাইনে টিউশন: আপনি যদি বাংলাদেশ টিউশনী করে থাকেন তাহলে খুব সহজে আপনি জুমের মাধ্যমে ইউরোপ আমেরিকাতে প্রাইভেট টিউটর হিসেবে কাজ করতে পারবেন । একটি টিউশনীতে মিনিমাম সেলারী ১০০০ ডলার মানে প্রায় এক লাখ টাকা । অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি । কারণ ১০০০ ডলার তাদের জন্য খুবই সামান্য একটা এমাউন্ট । ৮. ফটোগ্রাফি: আপনি যদি ফটো তুলতে পছন্দ করেন তাহলে আপনার সেই ফটোগুলো Shutter Stock এ রেখে বিক্রি করতে পারেন । এই ফটোগুলো অনেক মানুষ কিনবে । আপনি তার ৫০% পেমেন্ট পাবেন । ৯. CPA মার্কেটিং: আপনি বিভিন্ন কোম্পানীর লিংক ও ল্যান্ডিং পেইজ প্রমেট করে ইনকাম করতে পারেন । তবে আমার এটিকে না করার পরামর্শ দিই । কারণ এতে পুরোপুরি ইথিক্যাল নয় এবং পরিশ্রম বেশী সেই তুলনায় টাকা কম । আমার মনে হয় আপনি পড়তে পড়তে ক্লাস হয়ে গিয়েছেন । আরো অনেক পদ্ধতি আছে সেগুলো আরেক পোষ্টে বলব । তবে একটি বিষয় মনে রাখবেন যদি কখনো আপনাকে কোথাও টাকা ইনভেষ্ট করতে বলে নিশ্চিত হবেন সেটা ভুয়া । ফ্রিল্যান্সিং কোন ব্যবসা নয় । এখানে টাকা কামাতে হবে শুধুমাত্র মাথা দিয়ে । ফ্রিল্যান্সিং এর ইনকাম কিভাবে হাতে পাবেন ? বিভিন্ন রকম ফ্রিল্যান্সিং ইনকাম বিভিন্ন মাধ্যমে আসে । নিচে বিস্তারিত বলা হল: ১. মার্কেটপ্লেস এর ইনকাম: আপনি যদি ফাইভার, আপওয়ার্ক বা অন্য কোন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করেন তবে এই টাকা আপনাকে মর্কেটেপ্লেস থেকে আপনার Payoneer একাউন্টে নিয়ে আসতে হবে । তারপর এখান থেকে সরাসরি আপনার ব্যাংক একাউন্ট বা বিকাশে ট্রান্সফার দিতে পারবেন । টোটাল সময় লাগবে ২ দিন । ২. সরাসরি বায়ারের সেলারী ট্রান্সফার: মার্কেটপ্লেসে কাজ না করে আপনি যদি সরাসরি বায়ারের সাথে মাসিক বেতন ভিত্তিতে স্থায়ী চাকরী করলে তার দেয়া বেতন সরাসরি আপনার ব্যাংক একাউন্টে নিতে পারবেন । যদি বায়ার ব্যাংকের মাধ্যমে দিতে না চায় তবে আপনার Payoneer একাউন্টে ট্রান্সফার নিতে পারবেন । তাছাড়া সে চাইলে Western Union, Ria, Money Gram ইত্যাদির মাধ্যমে পাঠাতে পারে । ৩. ফেসবুক ও ইউটিউবের ও এমাজনের ইনকাম ট্রান্সফার: আপনার ব্যাংক একাউন্ট যুক্ত করে রাখলে অটোমেটিক প্রতি মাসের ২৫ তারিখ আপনার ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা হবে । ৪. পেপ্যল: সারা বিশ্বব্যাপী টাকা ট্রান্সফারের সবচাইতে জনপ্রিয় মাধ্যম হলে Paypal. কিন্তু বাংলাদেশ থেকে এটি ব্যবহার করা যায় না । পেপ্যাল ছাড়াই আমরা প্রায় ২ যুগ ধরে সুখে-শান্তিতে ফ্রিল্যান্সিং করে আসছি । কিন্তু যদি আপনাকে কোন কারণে পেপ্যাল ব্যবহার করতেই হয় তাহলে বাংলাদেশ থেকে পেপ্যাল একাউন্ট খোলার চেষ্টা করবেন না । আপনার বিদেশে থাকা কোন বন্ধু , আত্নীয় বা কোন পরিচিতজনকে বলবেন একটি পেপ্যাল একাউন্টে খুলে নিতে । সে মাত্র ৫ মিনিট তার মোবাইল থেকে পেপ্যাল একাউন্ট খুলতে পারবে । তারপর তার পেপ্যাল একাউন্টটি আপনি বায়ারকে দিবেন এবং বায়ার পেপ্যাল নাম্বারে টাকা পাঠিয়ে দিবে । বিদেশে থাকা আপনার আত্নীয় নরমালি টাকা তুরে আপনাকে পাঠাবে । এভাবে বিকল্প উপায়ে পেমেন্ট ট্রান্সফার করতে পারবেন । একদম নতুনরা যে ৩টি কাজ শিখে ১ম মাস থেকেই ফ্রিল্যান্সিং ইনকাম শুরু করতে পারবেন ? আপনি যদি খুব দ্রুত অর্থাৎ প্রথম মাস থেকে ইনকাম শুরু করতে চান তাহলে প্রথম মসে খুব সহজ ৩টি কাজ শিখুন, সেই তিনটা কাজের জন্য সম্পল তৈরী করুন, এবং খুব ভাল মানের গিগ তৈরী করুন । এই ভাবে প্রতিটি কাজ শিখতে বড়জোড় ২ দিন লাগবে কারণ কাজগুলো খুব সহজ । এইভাবে ১৫ দিনের মধ্যে আপনি পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিতে পারবেন । ১৫ দিন পর থেকেই আপনি কাজ পাবেন এবং ইনকাম শুরু হবে ইনশাল্লাহ । শুধুমাত্র ৩ টা সহজ কাজ শিখেই আপনি প্রথম মাস থেকে ইনকাম শুরু করতে পারবেন এবং নিশ্চিতভাবেই প্রতি মাসে ২০/৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন । তবে মনে রাখবেন এটা করার জন্য আপনাকে অবশ্যই প্রথম ১৫ দিন দৈনিক ১২ ঘন্টা করে সময় দিতে হবে কাজ শিখা এবং প্র্যাকটিস করার জন্য । কি কি কাজ শিখব: ১০ টা কাজের নাম বলছি । এর মধ্য থেকে আপনার পছন্দমত যে কোন ৩ টা শিখলেই হবে । কোন ৩টা শিখব ? যেটা আপনার ভাল লাগে সেটা শিখুন । একটি কঠিন মনে হলে আরেকটি শিখুন । সহজ কাজগুলো হল: ফেবুক ফ্রি মার্কেটিং ক্লাসিফাইড পোষ্টিং লিংক বিল্ডিং লিডস জেনারেশন ফেসবুক বিজনেস পেইজ তৈরী ইউটিউব চ্যালেল তৈরী ডাটা এন্ট্রি ভার্চুয়াল এসিসটেন্ট ওয়েব রিসার্চ কিভাবে শিখব: পরিপূর্ণ প্রফেশনালভাবে কাজগুলো শিখা, স্যাম্পল ও গিগ তৈরী করা এই সবকিছু নিয়ে আমার টিউটোরিয়াল আছে । এগুলো একদমই ফ্রি । আমাদের এই ফ্রি কোর্সের লিংকে আপনি সাজানো গোছানো অবস্থায় সবকিছু পাবেন । আপনাকে এক টাকাও খরচ করতে হবে না । সরকারী চাকরীর চাইতে ফ্রিল্যান্সিং কেন ভাল ? আমার এই কথা শুনে কিছু মানুষ হাসবে কারণ তাদের মতে সরকারী চাকরীর সাথে ফ্রিল্যান্সিং এর তুলনাই হতে পারে না । কোথায় কি ! যাহোক যারা এইভাবে চিন্তা করছেন তারা ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে কতটুকু জানেন ? খুব বেশী না । জাষ্ট এতটুকু ধারণা আছে যে ফ্রিল্যান্সিং করে ডাটা টাইপ করে টুকটাক কিছু ইনকাম করা যায় । এর বেশী কিছু তারা জানেন না । তাই স্বাভাবিকভাবেই তারা হাসবে । যাহোক তারা হাসতে থাকুক । তবে যারা ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার সম্পর্কে ভালভাবে জানেন শুধুমাত্র তারাই নিচের তুলনাগুলো পড়ুন: ১. সরকারী চাকরী পেতে কয়েক বছর প্রিপারেশন নিতে হয় । কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং ইনকাম শুরু করতে মাত্র কয়েক মাসের পড়াশুনাই যথেষ্ঠ । ২. সরকারী চাকরী পেতে মামা-চাচা ধরতে হয় কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে এগুলোর কিছুই লাগে না । ৩. সরকারী চাকরী পাওয়ার সম্ভাবনা ১ % এর ও কম । কারণ একটা পদের বিপরীতে কয়েকশত জন এপ্লাই করে । কিন্তু আপনি আন্তরিকভাবে চেষ্টা করলে ফ্রিল্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা ১০০% ৩. চাকরী পাওয়ার পর বেতন হয় আনুমানিক ৩০/৪০ হাজার । কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং করে ৬ মাস পর থেকেই নিশ্চিতভাবে ৫০ হাজার টাকার বেশী ইনকাম করা যায় । ৪. দুই বছর পর সরকারী চাকরীজীবীর বেতন হয় আনুমানিক ৫০ হাজার আর ফ্রিল্যান্সারের আয় হতে থাকে প্রতি মাসে ২ লাখ টাকার বেশী । আর এই ইনকাম ক্রমান্বয়ে বাড়তেই থাকে । ৫. একজন সরকারী চাকরীজীবী সারা জীবন যা আয় করে একজন ফ্রিল্যান্সার মাত্র কয়েক বছরেই তা করতে পারে । ৬. স. চাকরী চলে যাওয়ার ভয় থাকে কিন্তু ফ্রিল্যান্সার এর চাকরী যাওয়ার কোন ভয় নাই । কারণ আজকে একটি চাকরী ছাড়লে আজকেই আরো ৩টি চাকরি ম্যানেজ করতে পারবে । ৭. একজন ফ্রিল্যান্সার আরো দশ জনকে চাকরী দিতে পারে কিন্তু স. চাকরীজীবীরা সেটা পারে না । ফ্রিল্যান্সাররা দেশের বেকার সমস্যা দূরীকরণে ভূমিকা রাখতে পারছে । ৮. ফ্রিল্যান্সাররা দেশর বাইরে থেকে ফরেন কারেন্সি এনে দেশের রিজার্ভ সমৃদ্ধ করছে যেট দিয়ে সরকার দেশের জন্য খাদ্য কিনতে পারে । কিন্তু একজন চাকরীজীবী যতই বেতন পাক না কেন তাতে বাইরে থেকে এক পয়সাও আসছে না । ৯. সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হল একজন ফ্রিল্যান্সার বুকে হাত দিয়ে অনুভব করতে পারবে তার প্রতিটি পয়সা হালাল । এখানে বিন্দুমাত্র অনৈতিকতা নেই । নিজের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ হতে হয় না । ১০ এখানে কোন অফিস পলিটিক্স নেই । বসকে অয়েলিং করার ও কোন প্রয়োজন হয় না । পরিশেষে এটাই বলব আপনার যদি আন্তরিকভাবে দেশের সেবা করতে চান তাহলে অবশ্যই সরকারী চাকরী ভাল । আর যদি খুব দ্রুত নিজের ক্যারিয়ার ডেভেলপ করতে চান তাহলে ফ্রিল্যান্সিং হাজার গুণে বেটার । দু:খের বিষয় হল একটা ছেলে পড়াশুনা শেষ করার পর কমপক্ষে ২ বছর সরকারী চাকরীর পেছনে দৌড়ায়, চাকরীর জন্য প্রচুর পড়াশুনা করে । তারপর ১০০ জনের মধ্যে মাত্র ১ জন চাকরী পায় আর ৯৯ জন সারা জীবনের জন্য ডিপ্রেশনে চলে যায় । এটা অমানবিক । কিন্তু মজার বিষয় হল যে দুই বছর সে সরকরী চাকরী খুঁজবে তার থেকে মাত্র ৬ মাস যদি সে ফ্রিল্যান্সিং এর স্কীল বিল্ড করত তাহলে সে সরকারী চাকরীর দশগুণ ইনকাম করতে পারত । ধন্যবাদ ডাটা এন্ট্রি কাজ করে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করা যাবে কিনা ? মজার একটা বিষয় হল নতুন যারা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চায় তারা চিন্তা করে প্রথমে ডাটা এন্ট্রি দিয়ে আমি টুক টাক ইনকাম করব । কিন্তু আসলে বাস্তবতা হল – ডাটা এন্ট্রি কাজটাই সবচাইতে কঠিন । নতুনদের জন্য এই কাজ একদম উপযুক্ত নয় । কেন ? ১. নতুনদের কল্পনায় থাকে বায়ার আমাকে হাতে লিখে কিছু ডকুমেন্ট ইমেইল বা হোয়াটস এপে দিবে আর আমি মনের সুখে সেগুলো টাইপ করে বায়ারকে ইমেইল করব । কত্ত সোজা । হা হা । আসলে এই কাজগুলো সফটওয়্যার দিয়ে করানো যায় । বাস্তবে এই রকম কোন কাজ কোন বায়ার দেয় না । ২. কিন্তু মার্কেটপ্লেসে তো ডাটা এন্ট্রি লিখে সার্চ করলে অনেক কাজ পাওয়া যায় !! ওকে পাওয়া যায় কিন্তু সেগুলো সবচাইতে কঠিন কাজ । কেন কঠিন ? কারণ আপনাকে সেই কাজগুলো করার জন্য অনেক অনেক কিছু জানতে হবে এবং বুঝতে হবে । যেমন: ডাটা স্ক্রপিং, ডাটা মাইনিং, ডাটা রিসার্চ, প্রাইমারী ডাটা এন্টি, সেকেন্ডারী ডাটা এন্ট্রি, ওয়েবসাইটে এন্ট্রি, ই. আর . পি সফটওয়্যারে ডাটা এন্টি…… ইত্যাদি ইত্যাদি আরো অনেক কিছু । ৩. এই সামান্য কাজটা করতে এত কিছু জানতে হবে কেন । শুধু A B C D টাইপ করতে পাররেই তো পারার কথা !! Ok, মনে করুন আপনার এলাকায় যে কম্পিউটারের দোকাকে টাইপিং এর কাজ করে অর্থাৎ ডাটা এন্ট্রি করে তাকে অনেক কিছু জানতে হয় যেমন: বিভিন্ন দলিল ফরমেট তৈরী, চুক্তি নামা ফরমেট, এই রকম আরো শত রকম ডকুমেন্ট তৈরী সম্পর্কে তার নলেজ থাকতে হবে । না থাকলে শুধুমাত্র টাইপিং এর নলেজ নিয়ে সে কখনো কম্পিউটার কম্পোজের দোকানে চাকরী করতে পারবে না । ৪. তো এই সাধারণ একটি দোকনে কাজ করা লোক কে যদি এত কিছু জানতে হয় তাহলে ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানীতে ডাটা এন্ট্রি করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক কিছু জানতে হবে । এটাই স্বাভাবিক । ৫. তাই ফ্রিল্যান্সিং এ ডাটা এন্ট্রির কাজ আছে । কিন্তু সেগুলো অনেক জটিল এবং এই কাজে সবচাইতে বেশী সেলারী দেয়া হয় । কিন্তু এই মুহুর্তে আপনি সেই কাজগুলো করতে পারবেন না । অনেকদিন ফ্রিল্যান্সিং করার পর অভিজ্ঞতা হলে পারবেন । ৬. ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য সবচাইতে সহজ কাজ হল : ফেসবুক ফ্রি মার্কেটিং, ক্লাসিফাইড পোষ্টিং, লিডস জেনারেশন, লিংক বিল্ডিং, ভার্চুয়াল এসিসটেন্ট, ওয়েব রিসার্চ ইত্যাদি । কাজগুলো এতই সহজ যে আপনি মাত্র এক দিনে একটি কাজ শিখতে পারবেন । এই লিংকে আমি সবগুলো কাজের টিউটোরিয়াল সাজিয়ে গুছিয়ে রেখেছি । জাষ্ট এগুলো দেখেই খুব সহজে এক মাসের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং ইনকাম শুরু করতে পারবেন । সরকারী ফ্রিল্যান্সিং সার্টিফিকেট কিভাবে পাবেন, এটি দিয়ে কি লাভ হবে ? প্রথমত বলব এটি কি কাজে লাগবে: ১. পেশা হিসেবে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ২. এটি থাকলে আপনাকে কোন ইনকাম ট্যাক্স দিতে হবে না ৩. সবচাইতে বড় সুবিধা হল আপনার ফ্রিল্যান্সিং ইনকামের উপর ১০% ইনসেনটিভ পাবেন । অর্থাৎ আপনি যদি এক লাখ টাকা ইনকাম করেন তাহলে সরকার আপনাকে ১০ হাজার টাকা বোনাস দিবে । ৪. ব্যাংক একাউন্ট খুলতে ইনকামের প্রমাণ হিসেব ৫. ব্যাংক লোন পেতে ৬. বাচ্চাকে স্কুলে ভর্তি করাতে ৭. যে কোন অথরিটির কাছে নিজের পরিচয় সহজে উপাস্থাপন করার জন্য । এটা পাওয়ার শর্ত: ১. আপনার এক বছরের মধ্যে ১০০০ ডলার ইনকাম হতে হবে । সেটা যে কোন মাধ্যম থেকে হতে পারে । যেমন: আপওয়ার্ক, ফাইভার, সরাসরি বায়ারের সাথে কাজ করে, ইউটিউব এডসেন্স, ফেসবুক, এমাজন, আলি এক্সপ্রেস, নিজের তৈরী এপস থেকে ইত্যাদি । ২. আপনি যে আসলেই ইনকাম করেছেন তার প্রমাণ হিসেবে ঐ সকল সাইটের পেমেন্ট এর স্ক্রীণশট বা ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা যে কোন প্রমাণ সাবমিট করতে হবে । দেশে ২০/৩০ হাজার টাকার চাকরী পেতে কষ্ট হয় কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং করে কিভাবে লাখ টাকার বেশী সহজে ইনকাম করা যায় ? বেশীরভাগ মানুষের যুক্তিতে আসে না যে একজন এস. এস. সি বা ইন্টারপাশ ছেলে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করে যেখানে একজন মাষ্টার্স পাশ ছেলে ২০/৩০ হাজার টাকার চাকরী পেতে স্ট্রাগল করে । বিষয়টি খুব সহজ । আমরা যখন ফ্রিল্যান্সিং করি তখন আমেরিকা বা ইউরোপের কোন কোম্পানীতে আমরা জব করি । বেতন হয় ডলার বা ইউরোতে । দৈনিক ৮ ঘন্টা চাকরীর জন্য তাদের দেশের একজন অতি সাধারণ এমপ্লয়ীকে তারা বেতন দেয় ৩ থেকে ৪ হাজার ডলার । আর সেইম কাজের জন্য আমাদেরকে নতুন অবস্থায় বেতন দেয় এক থেকে দেড় হাজার ডলার । তারপর কাজের কোয়ালিটি ভাল হলে আস্তে আস্তে বেতন বাড়ে । এখন এই এক থেকে দেড় হাজার ডলার তাদের জন্য একেবারেই কম একটি এমাউন্ট কিন্তু সেই টাকা যখন বাংলাদেশী টাকায় কনভার্ট হয় তখন সেটি হয়ে যায় এক লাখ টাকার বেশী । আরেকটি উদাহরণ দিই । মনে করুন আপনি ওয়ার্ডপ্রেস সাইট তৈরীর কাজ করেন । একটা ওয়েব সাইট তৈরীর সর্বনিন্ম সেলারী হল ৩০০ ডলার যেটি করতে আপনার মাত্র এক দিনই যথেষ্ঠ । এখন মাসে যদি আপনি মাত্র ৫ টি কাজ পান তাহলে আপনার ইনকাম হবে প্রায় দেড় হাজার ডলার বা দেড় লাখ টাকা । মাসে ৫টি অর্ডার এটা একেবারেই নগণ্য । সিরিয়াসলি কাজ করল মাসে ২০ টির বেশী অর্ডার পাওয়াটাই স্বাভাবিক । আসলে মানুষ পার্থক্যটা বুঝে না । আপনি যখন দেশের যে কোন কেম্পানীতে চাকরী করছেন তখন আপনি বাংলাদেশের ইকোনোমিতে আছেন । আর যখন আপনি ফ্রিল্যান্সিং করছেন তখন আপনি ইউরোপ আমেরিকার ইকোনোমিতে কাজ করছেন । আর সেই সকল দেশে মাসে এক হাজার ডলার ইনকাম একটা অতি অতি নগণ্য এবং অপমানজনক ব্যাপার । কিন্তু সেই এক হাজার ডলার বাংলাদেশী টাকাতে কনভার্ট হলে এটা আমাদের এক্সপেক্টেশনের চাইতে বেশী এবং অতি সম্মান জনক । আমি ‍বুঝি না ঘরে বসে বিদেশী কোম্পানীতে চাকরী করার এত সহজ সিষ্টেম পাওয়ার পরও কেন মানুষ দেশে সামান্য একটা চাকরীর জন্য রক্ত পানি করে ! আরো মজার বিষয় হল এই ফ্রিল্যান্সিং শিখতে, চাকরী পেতে আপনাকে একটি টাকাও খরচ করতে হবে না, কোন মামা চাচার সুপারিশ ও লাগবে না । জাষ্ট নিজেকে ৩ মাসের জন্য চেয়ারের সাথে বেঁধে ফেলতে হবে । শুধুমাত্র আমাদের ফ্রি কোর্স করেই এক টাকাও খরচ না করে আপনি প্রথম মাস থেকে ইনকাম শুরু করতে পারবেন । এবং পর্যায়ক্রমে ফ্রি’তেই এডভান্সড কাজগুলো শিখে মাসে এক লাখ টাকার বেশী ইনকাম করতে পারবে । ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ পাওয়ার নিশ্চয়তা কতটুকু আসুন আমরা বিষয়টি যৌক্তিকভাবে বুঝি: ১. ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের আসল চিত্র: সারা বিশ্বব্যাপী প্রায় ২০০ টি দেশ ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ দেয় আর কাজ করে প্রধানত ৫টি দেশের মানুষ । বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্থান, নাইজেরিয়া এবং ফিলিফিন । যার ফলে যেই পরিমাণ কাজ প্রতিদিন পোষ্ট হয় তার অর্ধেকের অর্ধেক ও ফ্রিল্যান্সার নাই । কিন্তু এতে খুশি হওয়ার কোন কারণ নাই । কারণ সেই কাজগুলো করার জন্য অবশ্যই যোগ্য হতে হবে । যোগ্য লোক না পেলে বায়ার প্রয়োজনে কাজ করাবে না কিন্তু সে কখনো অযোগ্য লোককে কাজ দিবে না । সুতরাং এই সেক্টরে যারা ভালভাবে কাজ পারে তার প্রচুর প্রচুর কাজ পায় । বায়াররা নিজ থেকে তাদেরকে কাজ করার জন্য রিকোয়েষ্ট করে কিন্তু অনেক সময় তারা কাজ নিতে পারে না । আর অন্যদিকে যারা ভালভাবে কাজ না শিখে এপ্লাই করে বায়ার তাদেরকে কাজ তো দেয় না উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মার্কেটপ্লেসে কমপ্লেইন করে যার ফলে তাদের একাউন্ট সাসপেন্ড হয়ে যায় । যার ফলে যে কাজ পারে সে খুব সহজে মাসে ২/৩ লাখ টাকা ইনকাম করে আর যে পারে না সে এক টাকাও ইনকাম করতে পারে না । ২. প্রকৃত ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা কত: এখন কাজ পারে এমন লোক কি পরিমাণ আছে ? খুবই সামান্য । । বাংলাদেশে সরকারী হিসাব মতে ৫ লাখ ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট আছে কিন্তু তার মধ্যে বড়জোড় ১০ হাজার জনকে পাওয়া যাবে যারা ভালভাবে কাজ পারে । আর বাকীরা কোন প্রফেশনাল কাজ না শিখে এপ্লাই করতে থাকে । ৩. কাজের পরিমাণ বাড়ছে: ই-কমার্স, এফ- কমার্স এর যত প্রসার হচেছ ততই আমরা অনলাইন নির্ভর হয়ে যাচ্ছি । যার ফরে সারা পৃথিবীতে ব্যাবসা বানিজ্যের ডিজিটালাইজেশন হচ্ছে অর্থাৎ সবাই অনলাইনেই তাদের পণ্য বা সেবা বিক্রি করছে । তাই প্রতিনিয়ত অনলাইনে কাজ করার জন্য দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটারের চাহিদা তৈরী হচ্ছে । কিন্তু যে পরিমাণ লোক দরকার দক্ষ লোক তার চাইতে অনেক অনেক কম । কারণ কোন স্কুল, কলেজ বা ইউনিভার্সিটিতে এই কাজগুলো শিখানো হয় না । যার ফলে কাজের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে কিন্তু সেই কাজগুলো করার জন্য যোগ্য এমপ্লয়ী সেই হারে বাড়ছে না । কারণ দীর্ঘ ৬ মাস কষ্ট করে কাজ শিখার পরই একজন যোগ্য লোক তৈরী হয় । কিন্তু বাস্তবে কাজ শিখার এই ধৈর্য খুবই কম মানুষের আছে । ৪. বেতন বাড়ছে: এতে করে এই সেক্টরে একটা বিশাল ইমব্যালেন্স তৈরী হয়েছে । কাজ বেশী কিন্তু যোগ্য প্রফেশনাল কম । যার ফলে কোম্পানীগুলো অনেক বেশী বেতন দিতে বাধ্য হচ্ছে । যেই কাজের ভ্যালু ছিল ১০০ ডলার এখন তারা ৩০০ ডলার অফার করেও উপযুক্ত লোক পাচ্ছে না । ফাইভার আপওয়ার্কে ঢুকলে প্রকৃত চিত্র দেখতে পাবেন সুতরাং উপসংহারে বলা যায় আপনি যদি খুব ভালভাবে কাজ শিখে তারপর ফ্রিল্যান্সিং এ আসেন আপনি রাজার মত সমাদর পাবেন । এখন আপনি রাজা হবেন নাকি অতি অসহায় প্রজা হবেন এটা আপনার ব্যাপার । তবে রাজা হতে হলে আপনাকে কষ্ট স্বীকার করতে হবে, শিখার কষ্ট । প্রফেশনাল লেভেলের কাজ শিখার জন্য এক টাকাও খরচ করতে হবে না । জাষ্ট আমাদের ফ্রি কোর্স করেই শিখতে পারবেন । সরকার ফ্রিল্যান্সিং এর প্রতি তে আগ্রহী কেন ? ১. বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং থেকে হাজার কোটি ডলার ফরেন রেমিটেন্স আসে । সরকার বুঝতে পেরেছে দেশের প্রচুর জনগণকে ফ্রিল্যানিং শিখাতে পারলে প্রতি বছর লক্ষ কোটি ডলার দেশের রিজার্ভে জমা হবে । ২. এতে করে প্রত্যেক মানুষ নিজেই নিজের কর্মসংস্থান করে ফেলতে পারবে । সরকারের উপর চাপ হবে না । ৩. ফ্রিল্যান্সিং করতে বড় কোন অবকাঠামো লাগে না । জাষ্ট লাগে একটি মাথা । বাংলাদেশে কোটি কোটি মাথা । প্রতিটি মাথার দাম হাজার কোটি টাকা । একটি দেশের সবচাইতে বড় সম্পদ মানুষ । কিন্তু অদক্ষ জনগণ সম্পদ নয় বরং বোঝা কিন্তু দক্ষ মানুষ হাজার কোটি টাকার সম্পদ । এখন শুধুমাত্র এই ব্রেইগুলোকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এমপাওয়ার করতে হবে । ৪. এখন এত লোক ফ্রিল্যান্সিং শিখলে প্রতিযোগীতা বেড়ে যাবে কিনা ? একদমই না । সারা পৃথিবীতে প্রায় ২০০ টি দেশের মানুষ ফ্রিল্যন্সিং এর কাজ দেয় আর মাত্র বাংলাদেশ সহ ৫ টি দেশের মানুষ ফ্রিল্যান্সিং করে । তাছাড়া যেই হারে সারা পৃথিবীর ব্যবসা বাণিজ্য ডিজিটালাইজ হচ্ছে, তাতে যেই হারে অনলাইন চাকরীর পোষ্ট তৈরী হচ্ছে তার অর্ধেকের অর্ধেকের অর্ধেকও দক্ষ ফ্রিল্যান্সার নাই । সুতরাং বাংলাদেশের সকল মানুষ যদি ফ্রিল্যান্সিং শিখে তারপরও বৈশ্বিক চাহিদার ৫ শতাংশ ও পূরণ হবে না । বাংলাদেশ সরকার আমাদেরকে অনেক সুবিধা দিচ্ছে যেমন: ১. ফ্রিল্যান্সারদের ট্যাক্স মওকুফ করেছে ২. সরকারী আই.ডি কার্ড দিচ্ছে ৪. আমরা যেন খুব সহজেই সেলারী ট্রান্সফার করতে পারি সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক অনেক ফেসিলিটিজ দিয়েছে । ৫. সরকার প্রতি বছর – ”বেষ্ট ফ্রিল্যান্সিং এওয়ার্ড” দেয় । হ্যাপি ফ্রিল্যান্সিং ফ্রিল্যান্সিং এ সেলারী কম চাইলে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে কিনা ? মানুষ স্বাভাবিকভাবেই কম খরচ করতে চায় । মনে করুন কোন বায়ার একটি কাজ যদি ১ টাকায় করাতে পারে তবে কেন সে ৫ টাকা খরচ করবে ? কিন্তু মজার বিষয় হল যে ১ টাকা বেতন চাইবে বায়ার তাকে কখনোই কাজ দিবে না । বরং যে ৫ টাকা চাইবে তাকেই বায়ার নিশ্চিতভাবে কাজ দিবে । কেন এমন হবে : বায়ার বাদ দিন আপনি নিজের ক্ষেত্রেই দেখুন । আপনি নিজেই কিন্তু বেশী টাকা দিয়েই কাজ করাবেন । উদাহরণ দিচ্ছি: মনে করুন আপনার একটি মেজর অপারেশন করতে হবে । একজন এক্সপার্ট ডাক্তার বলল ২লাখ টাকা লাগবে । কিন্তু আপনার গ্রামের একজন হাতুড়ে ডাক্তার আপনাকে অফার করল যে তাকে মাত্র ২০০ টাকা দিলেই সে আপনার অপারেশনটি করে দিবে । এখন আপনি কি করবেন তাকে খুশি মনে ২০০ টাকা দিয়েই টেবিলে শুয়ে পড়বেন ? কখনোই না । কারণ আপনি জানেন যে ২০০ টাকা নিচ্ছে সে কখনো সেই কোয়ালিটি দিতে পারবে না যেট বড় ডাক্তার এনশিউর করতে পারবে । তাই হাড়ুড়ে ডাক্তার দিয়ে অল্প টাকায় অপারেশন করালে আপনার লাইফের সকল সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে !!! ( আপনি দুনিয়াতে না থাকলে তো আপানার কোন সমস্যাই থাকবে না , যা হোক একটু মজা করলাম ) তো এখন আপনি যদি আপনার জীবনকে ভালবাসেন তাহলে অবশ্যই আপনি বেশী টাকা খরচ করে বড় ডাক্তাকে দিয়ে অপারেশন করাবেন । যাহোক আমাদের নিজের জীবনকে যেমন আমরা যেভাবে কখনো কোন হাতুড়ে ডাক্তারের হাতে তুলি দিব না তেমন কোন বায়ারও তার ব্যবসাকে কোন হাঁটু ভাঙ্গা ফ্রিল্যান্সারের হাতে তুলে দিবে না । আশা করি বিষয়টি যৌক্তিভাবে বুঝতে পেরেছেন । সেলারী কম চাওয়া মানে নিজের পায়ে কুড়াল মারা: কারণ কম চাইলে বায়ার মনে করবে আপনি অযোগ্য, কাজ পারেন না, কাজ পাচ্ছেন না এই রকম অনেক কিছু আপনার সম্পর্কে প্রিডিক্ট করবে এবং আপনাকে হায়ার করবে না । আর হায়ার করলেও সে সন্দিহান থাকবে । আর বেশী চাইলে শুরু থেকেই আপনার প্রতি একট পজিটিভ ধারণা পোষণ করবে । তাহলে সেলারী কত চাইব ? খুব কম ও না আবার খুব বেশীও না । একটি কাজের যে যৌক্তিক রেইট হওয়ার কথা সেটাই চাইবেন । মনে করুন একটি ওয়েবসাইট তৈরী করার মূল্য ৫০০ ডলার । তাহলে আপনি কত চাইবেন । এটা ডিপেন্ড করে আপনি কি নতুন নাকি এক্সপার্ট তার উপর । যেমন আপনি যদি একদম নতুন হয়ে থাকেন তাহলে ৩০০- ৫০০ ডলার চাইবেন । আর যদি পুরতান ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন তাহলে ৬০০-৭০০ ডলার চাইবেন । যত বেশী অভিজ্ঞ হবেন তত বেশী সেলারী আপনাকে চাইতেই হবে না হলে আপনাকে বায়ার মূল্যায়ন করবে না । সেলারী নাকি কোয়ালিটি বায়াররা কোনটি চায় ? বায়ারদের প্রথম ও শেষ চাওয়া হচ্চে কোয়ালিটি । সে যে কাজ করাতে চাচ্ছে তা সঠিকভাবে এবং কোয়ালিটিফুলভাবে কে করতে পারবে সেটাই তাদের বিবেচ্য । কে কম চাচ্ছে বা কে বেশী চাচ্ছে সেটা নিয়ে তারা ভাবে না বরং তাদের মাইন্ডসেট থাকে যে কোয়ালিটিফুল এমপ্লয়ী নিতে হলে আমাকে বেশী খরচ করতে হবে । কাজের কোয়ালিটি কিভাবে বাড়াব: ১. খুব ভালভাবে খুঁটিনাটিসহ বিস্তারিতভাবে কাজটি শিখতে হবে । ২. সেটি ১০/১৫ বার করে করে প্র্যাকটিস করতে হবে । অর্থাৎ একবার করবেন আবার মুছবেন, আবার করবেন এইভাবে ৩. কিভাবে করলে বায়ার সর্বোচ্ছ বেনিফিট পাবে সেটা নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে হবে । আশা করি বিষয়টি পনির মত সহজ করে বুঝতে পেরেছেন । মোবাইল এপস থেকে কি ইনকাম করা যায় ? বিষয়টি কতটুকু সঠিক ? একদমই সঠিক না । কোন এপস থেকে ইনকাম করা যায় না । এপসগুলো তৈরী হয়েছে তাদের নিজেদের ব্যবসা করার জন্য । আপনাকে ইনকাম করিয়ে দেয়ার জন্য নয় । খুব সহজ বিষয় হল আপনাকে ইনকাম করতে হলে খুব ভালভাবে কাজ শিখতে হবে । তারপর যখন আপনি সেই কাজটি কোন বায়ারের জন্য করবেন তখন সেই বায়ার আপনাকে সেলারী দিবে । তাহলে অনেককে কেন বলতে শুনি যে অমুক এপস থেকে ইনকাম করেছে । আসলে সেই ইনকামগুলো শুধুমাত্র মোবাইল স্ক্রীণেই দেখা যায় বাস্তবে হাতে পাওয়া যায় না । এই সকল এপস এক পর্যায়ে বলবে যে আপনার দশ হাজার ডলার জমা হয়েছে এখন এই টাকা তুলতে আপনাকে ৫০০০ টাকা পাঠাতে হবে । এইভাবে তারা মানুষের সাথে প্রতারণা করে । একটা কথা মনে রাখতে হবে যখন কোন কোম্পানী আপনাকে অফার দিবে যে আপনাকে কোন কাজ শিখতে হবে না, তেমন কিছুই করতে হবে না শুধু তাদের এপস দিনে কয়েকবার খুলে কয়েকটি ক্লিক করলেই তারাই আপনাকে লাখপতি-কোটিপতি বানিয়ে দিবে ! সেটা যুক্তিসঙ্গতভাবে বিশ্বাস করার কোন কারণ নাই । ফ্রিল্যান্সিং জাষ্ট একটা ইনকাম না । এটা একটা লাইফটাইম প্রফেশন । ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, লইয়ার ইত্যাদি যে রকম পেশা ঠিক তেমনি ফ্রিল্যান্সিং ও সেই রকম একটি পেশা । আপনাকে অবশ্যই শিখতে হবে । ভালভাবে কাজ শিখলে আপনি সুন্দর একটি জীবন পাবেন । অনলাইন ক্লাস কেন সরাসরি ক্লাসের চাইতে ভাল ? প্রায় এক যুগ ধরে আমরা ফ্রিল্যান্সিং শিখাচ্ছি । প্রথম দিকে আমরা শুধুমাত্র আমাদের অফিসে ক্লাস করাতাম এবং সাপোর্ট দিতাম । কিন্তু সরাসরি ক্লাসের কিছু সীমাবদ্ধতা এবং অসুবিধা আছে যেটা অনলাইন ক্লাসে নাই । তাই আমরা বর্তমানে শুধুমাত্র অনলাইনেই ক্লাস করাই । সরাসরি অফিসে কোন ক্লাস বা সাপোর্ট হয় না । মজার বিষয় হল অনেকেই মনে করেন অনলাইন ক্লাস মানে টিভি দেখা, বা ফেসুবুকে লাইভ দেখার মত । এইরকম একদমই না । অসলে অনলাইন ক্লাস হল সম্পূর্ণ ইন্টারেকটিভ, টু ওয়ে কমিউনিকেশন । ক্লাস করার সময় আপনার মনে হবে আপনি ক্লাসরুমে বসেই ক্লাস করছেন । আমাদের অনলাইন ক্লাস কেন সরাসরি ক্লাসের চাইতে ভাল: ১. প্রিমিয়াম জুম সফটওয়্যারের মাধ্যমে আমাদের অনলাইন ক্লাস ও সাপোর্ট হয় । ২. অনলাইন ক্লাসে আমরা আপনাকে দেখব এবং আপনিও আামদের কে দেখবেন ৩. সরাসরি ক্লাসের মতই ক্লাস চলাকালীন কিছু না বুঝলে হাত তুলে প্রশ্ন করতে পারবেন ৪. আমরা জুমের মাধ্যমে সরাসারি আপনার কম্পিউটার ঢুকে নিজের হাতে প্র্যাকটিক্যালি প্রবলেম সলভ করে দিই । বায়াররা পুরাতন ও এক্সপার্ট ফ্রিল্যান্সারদের রেখে কেন নতুন ফ্রিল্যান্সারদের চাকরী দিবে ? নতুন অবস্থায় সবারই একটা টেনশন থাকে যে পুরাতন ও অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারদের চাকরী না দিয়ে কেন বায়ার আমাকে চাকরী দিবে । পুরাতনরা নিশ্চিতভাবেই ভাল কোয়ালিটির কাজ দিতে পারবে । তাহলেতো বায়াররা বেছে বেছে শুধুমাত্র অভিজ্ঞ ও এক্সপার্ট ফ্রিল্যান্সারদেরই কাজ দেয়ার কথা । নতুন অবস্থায় স্বাভাবিকভাবে আপনার কোন ফিডব্যাক নাই, কোন রিভিউ নাই, কোন জব হিষ্টোরি নাই, কোন অভিজ্ঞতা বা রিকমেন্ডশন কিচ্ছু নাই । একদমই খালি প্রোফাইল । তো কেন বায়ার আপনাকে কাজ দিবে ? ওকে সব বুঝলাম । আসুন আমরা বিষয়টি যৌক্তিকভাবে বুঝি । একটি উদহরণ দিই : মনে করুন রাস্তায় বাস এবং সি. এন. জি দুইটাই আছে । বাসের প্যাসেঞ্জার বাসে যাবে আর সি.এন.জি র প্যাসেঞ্জার সি.এন জি তে যাবে । সি. এন. জি র প্যাসেঞ্জার চিন্তা করে না যে বাসে গেলে তো আমি ১০ টাকা দিয়ে যেতে পারব তাহলে কেন আমি সি. এন. জি তে ১০০ টাকা খরচ করব । এখানে বাস এবং সি. এন. জি কেউ কিন্তু কারো কাষ্টমার কেড়ে নিচ্ছে না । কেউ কারো প্রতিদ্বন্দী নয় । ঠিক তেমনি ফ্রিল্যান্সিং এ নতুন এবং এক্সপার্ট টা কেউ কারো প্রতিদন্দ্বী নয় । যেই সকল বায়ার খুব হাই কোয়ালিটি এবং সেনসেটিভ কাজ করাবে তারা বেশী টাকা বেতন দিয়ে এক্সপার্ট কে হায়ার করবে, তারা নতুনদের কখানো নিবে না । আর যারা গরীব বায়ার বা খুব সিম্পল / সহজ কাজগুলো করাবে তারা কম বেতনে ফ্রিল্যান্সার খুঁজবে । কিন্তু কম বেতনে এক্সপার্টরা কখনোই কাজ করবে না । তাই সেই সকল বায়ারদের একমাত্র ভরসা নতুন ফ্রিল্যান্সার । যেই কাজ একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার ১০০ ডলার দিয়ে করবে এক্সপার্টরা সেই কাজ ৫০০ ডলারের নিচে কখনোই করবে না । কারণ তাদের কাজের অভাব নাই । তারা কোন কাজের জন্য এপ্লাইও করে না । বায়ার নিজেই তাদেরকে কাজ করার জন্য রিকোয়েষ্ট করে । আশাকরি বুঝতে পেরেছেন যে এক্সপার্টদের বায়ার আলাদা এবং নতুনদের বায়ার আলাদা। আশা করি আপনার মনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন । ধন্যবাদ সম্পূর্ণ নতুন অবস্থায় কোন অভিজ্ঞতা ছাড়া খুব সহজেই কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ পাবেন ? যে যে সকল বায়ার কম টাকায় কাজ করাতে চায় তারাই নতুনদেরকে হায়ার করে। এখন কিভাবে করবে ? চোখ বন্ধ করে বা লটারী করে বাছাই করবে ? একদমই না । হায়ার করার আগে বায়ার যাচাই করবে আপনি আসলে কাজ পারেন কিনা এবং আপনার কাজের মান কত ভাল । তো কিভাবে যাচাই করবে ? যাচাইয়ের মানদন্ডগুলো হল: ১. পোর্টফোলিও বা স্যাম্পল: আপনাকে অবশ্যই সম্যাল তৈরী করতে হবে এবং কোন রকম স্যাম্পল হলে হবে না খুব ভাল মানের হতে হবে । ভাল স্যাম্পল দেখলে বায়ার বুঝবে যে আপনি ভাল মানের কাজ পারেন । আর স্যাম্পলগুলো অন্য কোথাও থেকে কালেকশন করা যাবে না । অবশ্যই অবশ্যই আপনাকেই তৈরী করতে হবে । কারণ এই স্যাম্পলের উপর বায়ার আপনাকে ইন্টারভিউতে বিভিন্ন প্রশ্ন করবে । ভাল স্যাম্পল দেখলে বায়ার নিশ্চিত হবে যে আপনি কাজ করেন নাই কিন্ত আপনি কাজ পারেন এবং কাজের মান ভাল । ২. প্রফেশনাল মানের এবং নির্ভুল গিগ: শুধু কোন রকম একটি গিগ তৈরী করলে কাজ পাবে না । চাকরী দেয়ার আগে বায়ার অনেক সময় নিয়ে আপনার গিগটি পড়বে । সুতরাং গিগটি যদি মানসম্মত না হয় তাহলে শুরুতেই আপনার প্রতি একটি নেগেটিভ ধারণা তৈরী হবে । ৩. আপনার প্রোফাইল: অবশ্যই প্রফেশনাল মানের প্রোফাইল তৈরী করতে হবে এবং এটি ১০০ % কমপ্লিট হতে হবে । প্রোফাইলে আপনি কিভাবে নিজেকে উপাস্থাপন করছেন, কিভাবে আপনার স্কিল এবং এক্সপার্টাইজগুলোকে ডেসক্রাইব করছেন এটা খুবই গুরুত্বর্ণ । যারা কাজ পারে না তারা স্বাভাবিকভাবে নিজের প্রোফাইলকে প্রফেশনাল লুক দিতে পারবে না । ৪. কয়টি টেষ্টে পাশ করেছেন: প্রত্যেক মার্কেটপ্লেসে টেষ্ট এর ব্যাবস্থা আছে । আপনি যত বেশী টেষ্ট দিয়ে পাশ করবেন ততই আপনার গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে এবং ক্রাউডের মধ্যে আপনি আলাদাভাবে নিজের অস্তিত্ব জানান দিতে পারবেন । ৫. বায়ার রিকোয়েষ্ট রিপ্লাই: অনেকেই মনে করেন যেনতেন ভাবে ২/৩ লাইন রিপ্লাই লিখে দিলেই হয়ে যায় । একদমই না । আপনার রিপ্লাইগুলো অবশ্যই বায়ারের সবগুলো সেনসেটিভ পয়েন্টকে কাভার করতে হবে । একটি ভাল মানের রিপ্লাই কমপক্ষে ১০/১২ হওয়াটা স্বাভাবিক । বায়ার রিকোয়েষ্ট রিপ্লাই লিখা একটি টেকনিক্যালি বিষয় । অবশ্যই এটি ভালভাবে শিখতে হবে । আপনার রিপ্লাই পড়ার পর বায়ার ডিসাইড করবে আপনাকে নক করবে কি করবে না । ৬. বায়ারের সাথে ইন্টারভিউ: আপনার রিপ্লাই পাওয়ার পর বায়ার যদি সেটা পছন্দ করে তবে আপনাকে ইন্টারভিউতে ডাকবে । ইন্টারভিউ মানে লিখে লিখে চ্যাট করবে । অবশ্যেই এই ইন্টারভিউর ম্যানারগুলো জানতে হবে এবং কিভাবে বায়ারকে ইন্টারভিউতে বিভিন্ন যুত্তি ও তথ্য দিয়ে ইমপ্রেস করবেন তা শিখতে হবে । ৭. খুব ভালভাবে কাজ শিখতে হবে: সবচাইতে বড় কথা হল খুব ভালভাবে কাজ শিখতে হবে এবং একই কাজ বার বার করার মাধ্যমে স্কীল অর্জন করতে হবে । চাকরী পাওয়ার পর যদি কাজ করতে না পারেন তবে চাকরী এমনিতেই থাকবে না । আশা করি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে আপনি নতুন অবস্থায় সহজেই চাকরী পাবেন এবং আরো বুঝতে পেরেছেন কেন অনেক ফ্রিল্যান্সার মাসের পর মাস এপ্লাই করেও কাজ পায় না । বিশ্বাস করুন ৯৫% ছেলে উপরোক্ত বিষয়গুলো জানে না বুঝে না । জাষ্ট একটা একাউন্ট খুলেই এপ্লাই করতে থাকে । কিন্তু আপনি যদি উপরোক্ত বিষয়গুলো ফলো করেও কাজ না পান তাহলে আপনাকে আমরা পুরষ্কার দিব । আপনি কি ফ্রিল্যান্সিং এ সফল হতে পারবেন ? শুরুতে অনেকের মনে এই রকম প্রশ্ন আসে – আমি কি পারব ? ১. আপনি পারবেন কিনা দুনিয়ার কেউ সেই ব্যাপারে গ্যারিন্টি দিতে পারবে না । সম্ভব না । আপনার গ্যারান্টি আপনাকেই দিতে হবে । আপনার স্ট্রেন্থ এবং উইকনেস কেবলমাত্র আপনিই জানেন । পাশাপাশি আপনি কতটুকু সময় দিতে পারবেন তাও শুধুমাত্র আপনিই বলতে পারবেন । ২. যাদের মনে এই প্রশ্ন আসবে নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে তারা পারবে না । তারা ফ্রিল্যান্সিং এ না আসলেই ভাল হবে । কারণ যিনি এটা চিন্তা করছেন তার আত্নবিশ্বসের প্রচন্ড অভাব রয়েছে । ফ্রিল্যান্সিং হল শুধুমাত্র আত্নবিশ্বাসী মানুষদের জন্য । ৩. ফ্রিল্যান্সিং এ সফল হতে অনেক বেশী কম্পিউটার ও ইংলিশ জানতে হয় বা অনেক বড় বড় ডিগ্রী থাকতে হয় তা মোটেও না । আপনি এই মুহুর্তে কম্পিউটার ও ইংলিশ ভালভাবে পারেন না তাতে কোন সমস্যা নেই । এখন চিন্তা করুন আপনি শিখার জন্য সময় দিতে পারবেন কিনা, কষ্ট করতে পারবেন কিনা ? খুব সহজ কথা – শিখলে পারবেন, না শিখলে পারবেন । প্রফেশনাল লেভেলে কাজ শিখে সঠিক গাইডলাইন অনুযায় অগ্রসরী হলে নিশ্চিতভাবেই সফল হবেন আর না হলে নিশ্চিতভাবেই বর্থ্য হবেন । ৪. বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ ছেলে-মেয়ে ফ্রিল্যান্সিং করছে । আপনার চাইতে অনেক কম যোগ্যতাসম্পন্ন মানুষও অনেক ভাল ইনকাম করছে । তারা পারছে কিন্তু আপনি নাও পারতে পারেন । কারণ তারা যেভাবে চেষ্টা করেছে, যত কষ্ট স্বীকার করেছে, যেভাবে লেগে থেকেছে – তা আপনি পারবেন কিনা গভীরভাবে চিন্তা করুন । কোন কারণে প্রথম মাসে সফল না হলে দ্বিতীয় মাসে হবেন, দ্বিতীয় মাসে না হলে তৃতীয় মাসে হবেন । লেগে থাকলে নিশ্চিতভাবে সফলতা আসবে । যাদের ধৈর্য নেই তাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং না । ৫. আমাদের হাজার হাজার স্টূডেন্ট টপ লেভেল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করছে । তারমধ্যে অনেকেই আছে যারা এখনো মাত্র স্কুলে পড়ছে কিন্তু বিদেশী অনেক বড় বড় কোম্পানীতে অনেক দায়িত্বশীল পদে কাজ করছেন । ইউটিউবে Jamal Sir লিখে সার্চ করলে এই রকম আমাদের হাজার হাজার ষ্টূডেন্টেদের সাপোর্ট এর ভিডিও রেকর্ড পাবেন । তাদেরকে দেখে আপনার উৎসাহিত হওয়ার কিছু নেই । প্রত্যেকটা স্টূডেন্টের সফলতার গল্প একটি ইতিহাস । কষ্টের ইতিহাস, লেগে থাকার ইতিহাস, হাল ছেড়ে না দেয়ার ইতিহাস । আজ যে মাসে ২/৩ লাখ টাকা ইনকাম করে শুরুতে সেও প্রচন্ড হতাশায় ভুগেছিল । কিন্তু তারা সেই হতাশা থেকে ওভারকাম করেই সফল হয়েছেন । আপনি চিন্তা করুন এই গুণগুলো আপনার আছে কিনা ? ৬. ফ্রিল্যান্সিং মানে অন্ধকার পথে পাহাড়ে উঠার চেষ্টা করা । আমরা সেই অন্ধকার পথে আলো ফেলে হাত ধরে ধরে হাঁটায় । যাত্রা পথে যত রকম রিসোর্স দরকার তার সবকিছুই আমরাই প্রোভাইড করি । কারো কষ্ট হলে আমরা তাকে সাপোর্ট দিয়ে হাঁটতে সাহায্য করি । কিভাবে কোন পথে হাঁটলে খুব সহজে পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছা যাবে সেই পথেই আমাদের সাথে নিয়ে যায় । টোটাল গাইডলাইন, টোটাল রেসপনসিবিলিটি । টোটাল সলিউশন । ঠিক এই কারণেই এক মাসের মধ্যেই আমাদের স্টূডেন্টরা সাকসেস হয় এবং কোর্স কোর্স চলাকালীন ইনকাম শুরু করতে পারে । উদ্দেশ্য ৬ মাস পর থেকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকার বেশী ইনকাম করা । মনে রাখতে হবে অন্য কেউ আপনাকে যতই হেল্প করুক, হাঁটতে হবে আপনাকেই । ৭. আমরা বেছে বেছে শুধুমাত্র তাদেরকেই ভর্তি করায় যারা নিজেদের ব্যাপারে প্রচন্ড আত্নবিশ্বাসী ও পরিশ্রমী । আর যারা মনে করবে শুধুমাত্র কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলেই আকাশ থেকে টুপ টুপ ডলারের বস্তা পড়তে থাকবে তাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং না । কোথাও ভর্তি না হয়ে, কোন টাকা খরচ না করে শুধুমাত্র আমাদের ফ্রি ভিডিওগুলো দেখে যদি প্রতি মাসে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন তাহলে বুঝবেন আপনাকে দিয়ে হবে , আপনি পারবেন । আর যদি আমাদের এই ফ্রি ভিডিওগুলো দেখে দশ হাজটার টাকাও ইনকাম করতে না পারেন তবে বুঝবেন ফ্রিল্যান্সিং আপনার জন্য না । আপনি কোন ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হলে শুধু শুধু আপনার টাকাটাই নষ্ট হবে । ধন্যবাদ । ফ্রিল্যান্সিং কি বেকার সমস্যার সমাধান : না । বেকারদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং নয় । বেকার রা ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবে না । তাহলে পেপার বা টিভিতে কেন বলে যে এটি বেকারদের জন্য আশার আলো ? আসলে প্রিন্টিং বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের এই সম্পর্কে গভীর জ্ঞান নাই । না থাকাটাই স্বাভাবিক । তারা প্রাথমিক বিষয়গুলো জেনেই রিপোর্ট লিখে এবং লক্ষ কোটি বেকারদেরকে মিথ্যা স্বপ্ন দেখায় । কেন বেকার রা ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবে না ? ১. নিশ্চিত যে যারা নিজেদের বেকার বলে তাদের অনেক ভাল এডুকেশন কোয়ালিফিকেশন আছে । হয়ত বা অনেক ভাল রেজাল্টও আছে । কিন্তু কোন প্র্যাকটিক্যাল কাজের দক্ষতা নেই । যে কোন কাজ নিয়ে প্র্যাকটিক্যাল স্কীল আছে এমন কোন মানুষ বেকার থাকে না, থাকতে পারে না । বেকাররা শুধুমাত্র সার্টিফিকেট এর উপর ভরসা করেই চাকরী খোঁজার চেষ্টা করে । আসলে তাদের কোন দোষ নেই আমাদের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থাটাই থিউরিটিক্যাল , প্র্যাকটিক্যাল নয় । স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটি কোথাও আমাদেরকে স্কীল ডেভেলপের দিকে মনযোগ দেয় না । শুধুমাত্র সার্টিফিকেট বা ভাল রেজাল্ট দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় না । এখানে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হল স্কীল । । যত ভাল কাজ পারবেন তত বেশী সেলারী পাবেন । এখানে আপনাকে কখনো সার্টিফিকেট দেখাতে হবে না । কোন বায়ার এডুকেশন কোয়ালিফিকেশন জিজ্ঞেস করবে না । তবে যে যত বেশী শিক্ষিত সে তত বড় দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে পারে এবং বেশী বুঝার ক্ষমতা থাকে যার ফলে খুব কম সময়ের মধ্যে প্রমোশন পায় ও অনেক বেশী ইনকাম করতে পারে । আর আপনি পড়াশুনা শেষ করেছেন নাকি এখনো স্টূডেন্ট তাতে কিছুই যায় আসে না । প্র্যাকটিক্যাল কাজ করতে পারেন কি পারেন না সেটাই মূল বিষয় ফ্রিল্যান্সিং এ এডুকেশনের গুরুত্ব ২০% আর স্কীলের গুরুত্ব ৮০% । মজার ব্যাপার হল বাংলাদেশের ছেলেমেয়য়েরা এই অতি গুরুত্বপূর্ণ স্কীল ছাড়াই জব মার্কেটে ঢুকার চেষ্টা করে এবং বেশীরভাগই ব্যর্থ হয় । এটা আমাদের স্টূডেন্টেদের ব্যর্থতা না – এটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যর্থতা । তাহলে কি বেকারদের পক্ষে ফ্রিল্যান্সিং করা কোনভাবেই সম্ভব না ? অবশ্যই সম্ভব । প্রথমত নিজেকে বেকার ভাবা যাবে না । চিন্তা করতে হবে এইভাবে যে – আমি এডুকেশন অর্জন করেছি কিন্তু আমার স্কীল নেই তাই এই মুহুর্তে আমি জব মার্কেটে ঢুকার চেষ্টা করব না । এখন আমাকে যে কোন একটা বিষয়ে প্র্যাকটিক্যাল কাজ শিখতে হবে । এ প্লাস পাওয়ার জন্য যেভাবে মনযোগ দিয়ে পড়াশুন করেছি ঠিক সেইভাবেই দক্ষতা অর্জনের জন্য পড়াশুনা করব । যদি আপনি পড়াশুনা করার জন্য জীবনের ২৫/২৬ বছর পার করতে পারেন তবে যে কোন প্র্যাকটিক্যাল কাজ শিখার জন্য অবশ্যই আপনাকে ৬ মাস সকঠিন পড়াশুনা ও সাধনা করতে হবে । বেশীর ভাগ মানুষই সারা জীবন কঠিনভাবে পড়াশুনা করে খুব ভাল রেজাল্ট অর্জন করে কিন্তু দক্ষতা অর্জনের জন্য পড়াশুনা করতে চায় না এবং এটাই যে সার্টিফিকেটের চাইতেও অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ সেটা উপলব্ধি করতে পারে না । সুতরাং স্কুল কলেজে যেভাবে মনযোগ দিয়ে পড়াশুন করেছেন তার চাইতেই বেশী মনযোগ দিয়ে প্র্যাকটিক্যাল ও প্রফেশনাল কাজ শিখতে হবে একদম শূণ্য থেকে। এটি জামাল স্যারের লেখা । জামাল স্যারের ফ্রিল্যান্সিং সংক্রান্ত সকল লেখা, ভিডিও এবং টিউটোরিয়াল পেতে ফেসবুক, গুগল এবং ইউটিউবে সার্চ করুন । যেগুলো দেখে আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ফ্রিল্যান্সিং শিখে খুব দ্রুত ইনকাম শুরু করতে পারবেন । ফ্রিল্যান্সিং করতে কি শিখব ? কিসের উপর প্র্যাকটিক্যাল স্কীল ডেভেলপ করব ? প্রথমত ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে অবশ্যই কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সংক্রান্ত বেসিক কাজগুলো শিখতে হবে । দ্বিতীয়ত আপনি যে সাবজেক্টে অনার্স বা মাষ্টার্স করেছেন বা বর্তমানে যেই বিষয়ের উপর পড়াশুনা করছেন সেই রিলেটেড জব সেক্টরে কি রকম স্কিল দরকার তা খোঁজ খবর নিন । যেমন আপনি যদি একাউন্টিং মেজর নিয়ে বিবিএ বা এম.বি এ করেছেন বা এখনো স্টূডেন্ট তবে আপনি সিদ্ধান্ত নিন যে কোন ধরনের কোম্পানীতে আপনি একাউন্টিং জব করতে চান । ধরে নিলাম আপনি রিয়েল এষ্টেট কোম্পানী তে জব করতে চান । তাহলে বিদেশী রিয়েল এষ্টেট বা হসপিটালে কিভাবে প্র্যাকটিক্যাল একাউন্টিং করা হয় তা শিখুন । ঐ সেক্টরে জব করছে এমন কারো কাছ থেকে শিখতে পারবেন । এমন কাউকে না পেলে Linked in এই রকম লাখ লাখ প্রফেশনাল পাবেন । তাছাড়া গুগল এবং ইউটিউবে হাজার হাজার ভিডিও ও টিউটোরিয়াল পাবেন যেগুলো দেখে আপনি প্র্যাকটিক্যাল নলেজ গ্রো করতে পারবেন । না আমি আমার সাবজেক্ট মেটার নিয়ে কাজ করতে চায় না । অন্য কিছু আরো সহজ কিছু নিজে কাজ করতে চায় এবং দ্রুত ইনকাম শুরু করতে চায়: ভেরি গুড তাহলে নতুন অবস্থায় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে ঢুকার সবচাইতে সহজ কাজ হল – ডিজিটাল মার্কেটিং । খুব সহজ কাজ, কম সময়ে শিখা যায়, প্রত্যেক কোম্পানীকে এই কাজটা করাতেই হয় তাই এই কাজটাই সবচাইতে বেশী পরিমানে পাওয়া যায় । শুধুমাত্র এই কাজটি করেই আপনি প্রতি মাসে ৫০ হাজার বা তার বেশী ইনকাম করতে পারবেন । প্রতি মাসে কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকা স্থায়ীভাবে ইনকাম হতে থাকলে তখন আপনি অন্যান্য রিটেটেড কাজেও স্কীল ডেভেলপ করতে পারবেন । শিখার জন্য সারা জীবন সময় আছে । আগে মূল কাজগুলো শিখে উপার্জন শুরু করতে হবে । ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে কতভাবে ইনকাম করা যায় ? ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের শুরুতে বেশীরভাগই মানুষই বুঝতে পারে না – কোন কাজ শিখবেন, কোন কাজের চাহিদা বেশী, কোনটি থেকে বেশী ইনকাম হবে এবং ঠিক কোন কাজটি আপনার জন্য উপযুক্ত । নতুন অবস্থায় আপনার জন্য সবচাইতে সহজ কাজ হবে ডিজিটাল মার্কেটিং বা ভিন্ন নামে এস.ই.ও । কারণ এই কাজটি সবচাইতে বেশী পাওয়া যায়, সবচাইতে সহজ এবং কম সময়ের মধ্যে ইনকাম শুরু করা যায় । এই কাজটি করে প্রতি মাস ৩০- ৫০ হাজার টাকা প্রতি মাসে সহজেই ইনকাম করা যায় । এই কাজের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং প্রতি মাসে একটা নিশ্চিত ইনকাম সোর্স তৈরী হলে তখন আপনি অন্যান্য আরো এডভান্সড লেভেলের কাজ শিখতে পারবেন । শিখার সময় সারা জীবনই আছে । কাজটি আসলে কি ? এটি হল কোন কোম্পানীর পক্ষে তাদের প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য অনলাইনে প্রচার করা । অর্থাৎ ভালভাবে গ্রাফিক্স, এনিমেশন, প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন সহকারে কোন কোম্পনীর পণ্য অনলাইনে উপস্থাপন করা এবং লাখ লাখ টার্গেটেড কাষ্টমারের কাছে প্রচার করা । উদ্দেশ্য কোম্পানীকে অনলাইনে বিক্রি করার ব্যাপারে সহায়তা করা । বর্তমানে ব্যবসা মানেই অনলাইনে প্রচার করতেই হবে । বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটারের সাহায্য ছাড়া কোন কোম্পানীর জন্য ব্যবসা বাণিজ্য করা অনেক কঠিন হবে । আমাদের কেনাকাটা থেকে শুরু করে সবকিছুইতেই অনলাইন নির্ভরতা বাড়ছে । সুতরাং এই কাজের ভবিষ্যত কি তা নিজেই অনুমান করুন । এই ডিজিটাল মার্কেটিং কাজটি ভালভাবে শিখে আপনি যতভাবে ইনকাম করতে পারবেন : ১. মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে । যেমন আপওয়ার্ক, ফাইভার ও অন্যান্য মার্কেটপ্লেসে প্রতিদিন এই বিষয়ে অসংখ্য পাওয়া যায় । ২. ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ছাড়া সরাসরি বিদেশী বড় বড় কোম্পানীর সাথে সরাসরি কাজ করতে পারবেন । এই ভাবে আপনি একটি বা দুইটি কোম্পনীতে ফিক্সড হয়ে গেলে একটা কোম্পানী থেকেই আপনি লাখ টাকার বেশী সেলারী ড্র করতে পারবেন । ( তাদের দেশের স্যালার স্ট্যান্ডার্ড অনুযায় এটা খুবই কম বেতন) । আপনি যদি সিরিয়াসলি ফ্রিল্যান্সিং করেন তবে নিচের কোন কাজ করার প্রয়োজন হবে না আর সময় ও পাবেন না । ৩. যদি আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে না চান তবে বাংলাদেশী যে কোন ছোট -বড় কোম্পানীতে ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে কাজ করতে পারবেন । কারণ বর্তমানে প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানকেই ফেসবুক পেইজ, ইউটিউব চ্যানেল এবং ওয়েবসাইট মেনটেইন করতেই হয় । এই ডিজিটাল পেইজগুলোর মাধ্যমেই তার লক্ষ কোটি টাকার প্রোডাক্ট সেল করে । তাই এগুলো পরিচালনার জন্য কোম্পানীগুলো ভাল বেতনে দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটার নিয়োগ করে । বর্তমানে প্রতিটি দোকান থেকে শুরু করে ছোট বড় মাঝারী লাখ লাখ প্রতিষ্ঠানে এই ডিজিটাল মার্কেটিং কাজের জব অপরচুনিটি তৈরী হয়েছে । ৪. আপনি চাইলে কোথাও চাকরী না করেও কমিশন বেসিসে অন্যান্য কোম্পানীর জন্য কাজ করতে পারবেন । যেমন আপনি কোন লিফট কোম্পানীর জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং করুন- সকল প্রচারণায় আপনার ফোন নাম্বার বা ইমেইল দিন । আপনার প্রচারণার ফলে কোম্পানীর যে পরিমাণ সেল হবে তার ১০ % বা ২০ % কোম্পানী আপনাকে দিবে । এই ব্যাপারে আগেই চুক্তি করুন । এইরকম কাজ করার জন্য হাজার হাজার প্রোডাক্ট পাবেন এবং যে কোন কোম্পানীকে অফার করলেই তারা একপায়ে রাজী হবে । আমি উদাহরণ হিসেবে লিফট দিলাম আপনি এর জায়গায় টিভি, ফ্রিজ, এসি, ফ্ল্যাট, জায়গা-জমি ইত্যাদি যে কোন প্রোডাক্ট বসাতে পারেন । ৫. ব্যবসা করুন । যে প্রোডাক্ট সম্পর্কে আপনার আইডিয়া আছে সেটা কম দামে পাইকারী কিনে অনলাইনে খুচরা বিক্রি করুন । ৬. ড্রপ শিপিং: মনে করুন কোন লোক মৌ চাষ করে । এখন সে ২০০ টাক কেজি দরে পাইকারী মধু বিক্রি করে । ঠিক সেই মধুই আপনি অনলাইনে ৫০০ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন । তার জন্য আপনি প্রচার করবেন, কন্টেন্ট তৈরী করবেন । অর্ডার আসলে কাষ্টমারের ফোন নাম্বারটি তাকে দিন । মৌ চাষীই কষ্টমারকে কুরিয়ার করবে এবং আপনি কোন মধু স্টক না রেখে, কোন উৎপাদন বা সংরক্ষণ না করে, পণ্য পরিবহনের কোন ঝামেলায় না জড়িয়ে, কোন রিস্ক না নিয়ে, কোন খরচ না করে শুধুমাত্র ঘরে বসে কাজ করেই – আপনি নিজেও লাভবান হতে পারবেন এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে লাভবান করে দিতে পারবেন । এই সিস্টেমের নাম হল ড্রপ শিপিং । ৭. এই জগতে ঢুকলে আপনার সাথে হাজারো ব্যবসায়ীর সাথে পরিচয় হবে যার ফলে নিত্য নতুন চাকরী, নতুন আইডিয়া, বিজনেস প্রপোজাল চলে আসবে । শুধু দরকার লেগে থাকা । এই অনলাইন জগৎ একটি মজার জগৎ । আসলে আমাদের বাস্তব জগৎটা খুবই ছোট আর অনলাইন জগৎ অসীম । ধন্যবাদ । পেপ্যাল কি ? এটি ছাড়া কি ফ্রিল্যান্সিং করা যাবে না । পেপ্যাল ছাড়া আমাদের আদৌও কোন অসুবিধা হচ্ছে কিনা ? বাংলাদেশে সবচাইতে জনপ্রিয় পেমেন্ট ট্রান্সফার মাধ্যম হল ”বিকাশ” । ঠিক তেমন বিশ্বব্যাপী সবচাইতে পপুলার পেমেন্ট ট্রান্সফার সিস্টেম হল “পেপ্যাল” । মনে করুন আপনার ব্যাংক একাউন্ট, বিকাশ, রকেট, নগদ সবকিছু আছে । এখন আপনি বাংলাদেশের অন্য শহরে থাকা কোন বন্ধুকে পাঁচ হাজার টাকা পাঠাবেন । এখন আপনার জন্য সবচাইতে সহজ হবে কোনটি – ব্যাংকে গিয়ে টাকা পাঠানো নাকি বিকাশে দেয়া । নিশ্চিত আপনি ব্যাংকে না গিয়ে বিকাশেই টাকা পাঠাতে পছন্দ করবেন । কথা হল শুধু বিকাশ কেন ? রকেট বা নগদ দিয়েও তো ইন্সট্যান্ট টাকা পাঠানো যায় ? কিন্তু সবার কাছে রকেট বা নগদ নাও থাকতে পারে । কিন্তু বিকাশ থাকবেই । তাই দূরের কারো কাছে টাকা পাঠানো বা টাকা নেয়ার প্রসঙ্গ উঠলেই আমাদের মাথায় আসসে বিকাশ এর কথা । ঠিক তেমনি ইউরোপ এবং আমেরিকাতে প্রত্যেক নাগরিকেরই পেপ্যাল একাউন্ট আছে এবং পেপ্যালে টাকা পাঠাতে তারা সবচাইতে কমফোর্ট ফিল করে । কারণ ব্যাংকে না গিয়ে মুহূর্তেই মোবাইলের মাধ্য যে কাউকে টাকা পাঠাতে পারে এবং টাকা রিসিভ করতে পারে । ফ্রিল্যান্সিং এ পেপ্যাল কেন গুরুত্বপূর্ণ: ৮০% বায়ার পেপ্যাল দিয়েই ফ্রিল্যান্সারদের সেলারী পরিশোধ করতে পছন্দ করে । এখন মনে করুন একটি বিদেশী প্রতিষ্ঠানে ১০ জন ফ্রিল্যান্সার কাজ করে । আপনিও তাদের একজন । এখন বায়ার ৯জনকে পেপ্যালে পেমেন্ট করছে কিন্তু আপনাকে করতে পারছে না । কারণ আপনার পেপ্যাল একাউন্ট নেই । তাহলে বায়ার বিরক্তিবোধ করবে এবং শুধুমাত্র আপনার জন্য সে ভিন্ন কোন পেমেন্ট সিষ্টেম ব্যবহার করতে চাইবে না । এতে আপনার পেমেন্ট পেতে অনেক অসুবিধার সম্মূখীন হতে পারেন । বাংলাদেশ থেকে পেপ্যাল ব্যবহার করা যায় না কেন ? যেহেতু পেপ্যালের মাধ্যমে বিশাল অর্থনৈতিক লেনদেন হবে এবং এই লেনদেনদে সামান্য পরিমাণ হ্যাকিং হয়ে কোন বাংলাদেশের কোন গ্রাহক ক্ষতির সম্মূখীন হলে সারা বিশ্বব্যাপী তাদের সুনাম নষ্ট হবে । তারা মনে করে বাংলাদেশে এখনো ডিজিটাল সিকিউর লেনদেন এর অবকাঠামো তৈরী হয়নি । যদিও বিষয়টি সত্য নয় তবু তারা ভয় পাচ্ছে এখানে তাদের সেবা চালু করতে । সরকার গত কয়েকবছর ধরেই চেষ্টা করে যাচ্ছে । আশা করি অচিরেই বাংলাদেশে পেপ্যাল চালু হবে । পেপ্যাল এর বিকল্প কি ? বাংলাদেশে Paypal এর একটি সাবসিডিয়ারী কোম্পনীর সেবা চলু আছে যেটার মাধ্য পেপ্যালে পাঠানো টাকা রিসিভ করা যায় । এটির নাম Xoom . ওয়েবসাইট www.Xoom.com অর্থাৎ কোন ব্যাক্তি যদি পেপ্যালের মাধ্যমে টাকা পাঠায় সেটা আপনি জুম থেকে রিসিভ করতে পারবেন । জুমে একটি একাউন্ট খুলুন এবং সেখানে আপনার যে কোন ব্যাংক একাউন্ট যুক্ত করুন । তাহলে পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকে যে কোন বায়ার আপনাকে পেপ্যাল এর মাধ্যমে পেমেন্ট করলে তা জুম এর মাধ্যমে সরাসরি আপনার ব্যাংক একাউন্টে জমা হয় । তবে জুমের মাধ্যমে অনেক বেশী টাকা পাঠানো যায় না । কিছু সীমাবদ্ধতা আছে যেটা পেপ্যালে নেই । পেপ্যাল ছাড়া বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে চলছে ? ১. আপনি যতদিন মার্কেটপ্লেসে কাজ করবেন ততদিন পেপ্যাল লাগবে না । ফাইভার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডট কম সহ যে কোন মার্কেটপ্লেসে সরাসরি বাংলাদেশী ব্যাংক একাউন্ট যুক্ত করা যায় । খুব সহজে আপনার ইনকাম সরাসরি আপনার ব্যাংকে জমা হবে । সরকার এই টাকার উপর কোন ট্যাক্স নেয় না বরং ২% বোনাস দেয় । আপনি যদি ১০০ টাকা ইনকাম করেন ব্যাংক আপনাকে দিবে ১০২ টাকা । ফ্রিল্যান্সিংকে উৎসাহিত করার জন্যই সরকার এই ইনসেটিভ দেয় । সুতরাং যতদিন আপনি মার্কেটপ্লেসে কাজ করবেন ততদিন পেপ্যাল কি জিনিস, খায় নাকি মাথায় দেয় তা আপনার না বুঝলেও চলবে । ২. যদি আপনি ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম করেন তাহলে ইউটিউবের সাথে (গুগল এডসেন্স) সরাসরি ব্যাংক একাউন্ট সংযুক্ত করতে পারবেন । প্রতি মাসের ১৫ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে ইউটিউবের ইনকাম আপনার ব্যাংকে অটোম্যাটিক্যালি জমা হবে । ৩. যদি আপনি ফেসবুকের ভিডিও মনিটাইজ করে ইনকাম করেন বা এমাজনের সাথে এফিলিয়েটস মার্কেটিং করে ইনকাম করে তাহলে তারাও সরাসরি ব্যাংক একাউন্টে পেমেন্ট ট্রান্সফার করে । ৪. এই রকম যত বড় বড় ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানী আছে সবার সাথে বাংলাদেশের ব্যাংক কানেকশন আছে । সবার কাছ থেকে আমরা ব্যাংকে পেমেন্ট নিতে পারি ।

আশা করি, ফরহাদ স্যারের এই নিজস্ব পোস্ট মতামত আপনাদের অনেক ‍উপকারে আসবে।

image
image
image
image
Tips for Starting Your Freelancing Career By Outsourcing Institute
সফল শিক্ষার্থীর মন্তব্য
ক্লায়েন্ট রিভিউ
image
image
image
image